সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাঁশের ওপর সাদা ও লাল কাপড় মুড়িয়ে শহীদ মিনারকে পূর্ণাঙ্গ একটি শহীদ মিনার স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারীর আগেই শহীদ মিনার উদ্বোধন করলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক। তিনি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে হাসি ফুটাতে এবং সাদা ও লাল কাপড় মুড়িয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে না বলে মনে করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুরের ১০৬নং মধ্যনরসিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন শহীদ মিনার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।
এদিকে ১০৬নং মধ্যনরসিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাঁশের ওপর সাদা ও লাল কাপড় মুড়িয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতো।
এমন ছবি দিয়ে গত বছর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর উক্ত স্কুলে ছুটে যায় সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল। পরে তারা ঘোষণা দিয়ে ছিলেন আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারী
পূর্ণাঙ্গ একটি শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারা সেই কথা রেখেছেন এবং সুন্দর একটি শহীদ মিনার স্থাপনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। আর সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সস্পাদক এমএ সাত্তার, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইন্সপেক্টর মনির হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মশিউর রহমান দুলাল, মো: সেলিম, নজরুল ইসলাম, সামসুজ্জামান কবির, কামরুন্নাহার, শরীফ হোসেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার, শিক্ষিকা পারভীন আকতার, তাহমিনা আক্তার, আছমা আক্তার, শাহনাজ বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা মো: জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
এদিকে শহীদ মিনার উদ্বোধনের পর স্কুলের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলেন, গত বছর আমাদের স্কুলে শহিদ মিনার না থাকায় বাঁশ ও কাপড় দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়েছে। সেটার অবসান ঘটলো। আমরা একটি সুন্দর শহীদ মিনার পেয়েছি। এতে ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টেনশন থাকবে না। বাঁশ ও কাপড় দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হবে না। আমরা অনেক খুশি হয়েছি সুন্দর একটি শহীদ মিনার পেয়ে।
ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত বছর বাঁশের ওপর সাদা ও লাল কাপড় মুড়িয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ছবি সহ সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল ভাইকে নিয়ে ছুটে যাই স্কুলে। সেখানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহিদ মিনার করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আর সেটা বাস্তবায়নের জন্য বাদল ভাইয়ের সহযোগিতায় একটি সুন্দর শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ আর সাদা-লাল কাপড় দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে না। শহীদ মিনার স্থাপন হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল ভাই ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।