সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ছাত্র ও যুব সমাজের আইডল একেএম অয়ন ওসমানের পক্ষ থেকে ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ ক এম শামসুজ্জোহার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ ও সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে এই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা। এরপর শতশত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে দাদা শামসুজ্জোহার কবরের সামনে মোনাজাত করেন অয়ন ওসমান। ওই সময় তিনি মোনাজাত করার সময় অশ্রুসিক্ত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি টিপু সুলতান, খুশবো, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী প্রান্ত, ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল, সাখাওয়াত, ইমরান হোসেন শুভ, ইমরান হোসেন সহ অন্যান্যরা। এসময় ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহার কবরের সামনে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, স্বাধীনতা-সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত প্রয়াত জননেতা একেএম শামসুজ্জোহার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ ফেব্রুয়ারি। তিনি ছিলেন একাধারে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণপরিষদের সদস্য ও স্বাধীনতা-পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্য। মরহুম একেএম সামসুজ্জোহা এদেশের অন্যতম ঐহিত্যবাহী ওসমান পরিবারে জন্ম নেন। তার বাবা মরহুম জননেতা খান সাহেব ওসমান আলীও ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক এমএনএ। ঐতিহ্যবাহী এই পরিবারের আদি নিবাস নারায়ণগঞ্জের ‘বায়তুল আমান ভবন’ আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের শরণার্থী শিবিরে একেএম সামসুজ্জোহা ‘ত্রাণবন্ধু’ নামে পরিচিত ছিলেন। প্রয়াত এই জননেতা সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ওইদিন অপরাহ্নে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। প্রয়াত শামসুজ্জোহার সহধর্র্মিণী ও রত্নগর্ভা নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষাসৈনিক। তার বড় ছেলে প্রয়াত জননেতা ও সাবেক এমপি নাসিম ওসমান, মেজো ছেলে বিএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এমপি ও ছোট ছেলে একেএম শামীম ওসমান। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রয়াত সামসুজ্জোহাকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।
মরহুম ভাষা সৈনিক সামসুজ্জোহার তিন ছেলে স্বাধীন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য হওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। মরহুমের বড় ছেলে প্রয়াত নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের চারবারের এমপি। তার মেঝো ছেলে সেলিম ওসমান ও ছোটে ছেলে শামীম ওসমান তিনবারের এমপি। একই পরিবারের তিন সন্তান জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী বিরল পরিবারের একটি এই সামসুজ্জোহার পরিবার।