সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে অভিনব কায়দায় পেটের ভিতর ইয়াবা পাচার করে এনে বিক্রয়কালে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৯’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় র্যাব-১১, সিপিএসসি’র মাদক বিরোধী অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন দেওভোগ এলাকা হতে অভিনব কায়দায় পেটের ভিতর নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার করে নিয়ে এসে বিক্রয়ের সময় ২ হাজার ৯’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং ওই সময় ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ রমজান হোসেন জয় ও মোঃ রাজিব হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন দেওভোগ এলাকার হাসান আলী ও সাহাপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয় ইয়াবা পাচারকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে উক্ত ইয়াবা পাচারকারীরা অভিনব কৌশলে পেটের ভিতরে করে ইয়াবা নিয়ে যাত্রীবাহী বাসযোগে কক্সবাজার হতে নারায়ণগঞ্জ রওনা দেয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন দেওভোগ এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ রমজান হোসেন জয়ের বাড়ীতে অভিযান চালায়।
উক্ত অভিযানে আসামী রমজান ও রাজিবের পেট থেকে বের করা অবস্থায় লাল ও কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ৫৮টি ইয়াবার পোটলা যার প্রত্যেকটিতে ৫০ পিস করে মোট ২ হাজার ৯’শ পিস ইয়াবা বিক্রয়ের সময় হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে যে, কক্সবাজারে এই ইয়াবার পোটলাগুলো আসামীরা খাবারের সাথে গিলে খায় এবং পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে এসে কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই পোটলাগুলো পায়ু পথ দিয়ে বের করে ক্রয়-বিক্রয় করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে অভিনব কৌশলে পেটের ভিতর নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার করে নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত মর্মে জানা যায়। উল্লেখ্য, আসামী রমজান ও রাজিব এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সোনারগাঁ থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রুজু রয়েছে।