সোনারগাঁও জাদুঘরে দোকান বরাদ্দ চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের কারুপল্লীর দোকান বরাদ্দে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে ১৩ জন কারুশিল্পীদের পক্ষে কারুশিল্পী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে এ পিটিশন দায়ের করেন।

রিট পিটিশনে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।

কারুশিল্পীদের দাবি- বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অভ্যান্তরে কারুশিল্পীদের কারুপন্য বিপননের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কারুপল্লী নামের এক মার্কেট স্থাপন করে। ওই মার্কেটে ৩৫টি দোকান ছিল। মার্কেটটি জরাজীর্ণ হওয়ার কারনে ২০০৮ সালে পুণরায় সংস্কার করে ৪৮টি দোকান তৈরি করে কারুশিল্পীদের বরাদ্দ দেন।

এ ৪৮টি দোকান থেকে ২০ জন প্রকৃত কারুশিল্পী দোকান বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হন। এ দোকান বরাদ্দ না পেয়ে কারুশিল্পীরা ২০১৩ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রয়ারী রিটে কারুশিল্পীদের পক্ষে আদালত রায় প্রদান করেন। ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ ২০ জন কারুশিল্পীদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে ২৮টি দোকান থেকে পুনরায় ১৩জন কারুশিল্পীর দোকান বরাদ্দ দিতে তালবাহানা শুরু করে।

ফলে ১৩ জন কারুশিল্পীদের পক্ষে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে এ পিটিশন দায়ের করেন। উচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন, সেলিনা আক্তার, মো. হাবিবুর রহমান ডালিম. সামসুন্নাহার, মো. রায়হান, মো. জাহাঙ্গির আলম, মনিরুজ্জামান মনির, আছমা বেগম, মো. হাবিবুর রহমান, রুবিনা আক্তার, মো. সালাউদ্দিন, মো. আনোয়ারুজ্জামান, নারগিস আক্তার ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পী সেলিনা আক্তার বলেন, আমাদের ১৩জন কারুশিল্পীকে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ দু’দফায় দোকান বরাদ্দ দিয়ে বাতিল করেছেন। বর্তমানে আমাদের বরাদ্দ দেই দিচ্ছি করে তালবাহানা করছেন। ফলে আমরা বিষয়টি মিমাংসার জন্য উচ্চ আদালতের ধারস্থ হয়েছি।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কারুশিল্পীদের রিটের কপি হাতে পেয়েছি। দোকান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে ২৭ জন কারুশিল্পীকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে প্রকৃত কারুশিল্পী যাচাই করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি দোকানগুলো প্রকৃত কারুশিল্পীদের মাঝে বন্টন করা হবে।