সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে নির্বাচন। তবে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগেই চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা।
বিএনপি কোনো স্থানীয় নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে হতে যাচ্ছে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের লড়াই।
যদিও প্রতিটি ইউনিয়নে লাঙ্গলের প্রার্থী দেয়ার চিন্তা ভাবনা এখনও নেই জাতীয়পার্টির। নির্দিষ্ট কিছু ইউনিয়নে লাঙ্গলের প্রার্থী দেখা যেতে পারে এবার। নতুবা কৌশলগত কারনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও থাকতে পারে শক্তিশালী চেয়ারম্যান প্রার্থী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নেমে গেলেও বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থাকা চেয়ারম্যানেরা রয়েছেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সুদৃষ্টি আদায়ের চেষ্টায়। সাম্প্রতিককালে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সিংহভাগ চেয়ারম্যানদের দেখা যাচ্ছে এমপির চারপাশেই। স্থানীয় এমপির সুদৃষ্টি ছাড়া নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হওয়া দায় সেটা বর্তমান চেয়ারম্যানদের অনেকেই বুঝতে পেরেছেন, যখন জামপুুর ইউনিয়ন পরিষদে আশরাফুর ভুঁইয়া মাকসুদকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সমর্থণ ঘোষণা করেছেন এমপি খোকা।
এই ঘোষণার পর অন্যান্য চেয়ারম্যানেরাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারাও ভীত হয়ে পড়েছেন। কারন জামপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু এবার নির্বাচন করলেও তার জয় দূরহ ব্যাপার। ফলে এমপির চারপাশে এখন অনেক চেয়ারম্যানদের ঘুরঘুর করতে দেখা যাচ্ছে।
যদিও স্থানীয় এমপি খোকাও চাচ্ছেন মহামারি করোনাকালে যেসব চেয়ারম্যানেরা জনগণের পাশে নিবেদিত ছিলেন এবং এমপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নমুলক কাজগুলো সম্পন্ন করেন এমন চেয়ারম্যানরা সামনে আবারো চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকুক। কিন্তু যারা বিতর্কিত তাদেরকে এবার সামনের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি দেখতে চান না।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির এমপি হওয়ার কারনে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও চাচ্ছেন আওয়ামীলীগের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাল ভাল ব্যক্তিরা যেনো ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বসেন। তবে মোটকথা এমপি খোকার সুদৃষ্টি ছাড়া কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ট হওয়া প্রায় অসম্ভব। যদিও শুধুমাত্র জামপুর ইউনিয়নে একজন মাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তিনি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বসবেন এমপি খোকা।
উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন, সাদিপুর ইউনিয়ন, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় এমপি খোকা ও জাতীয়পার্টির সমর্থিত শক্তিশালী চেয়ারম্যান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কাঁচপুুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম নিয়ে কয়েক মাস পূর্বে বিরুপ মন্তব্য করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন তিনি ফোরামে নেই। বিষয়টি নিয়ে এমপি খোকা চরম ক্ষুব্দ। যদিও কাঁচপুর ইউনিয়ন নিয়ে এখনও তেমন কোন আলোচনা হয়নি।
যদিও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ, বারদী ইউনিয়ন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন, সনমান্দি ইউনিয়ন, শম্ভুপুুরা ইউনিয়ন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানদের দিকেই থাকতে পারে এমপির সুদৃষ্টি। তবে এখনই চূড়ান্তভাবে কেউ কিছু জানাতে পারেনি। দিন যত ঘনিয়ে আসবে নির্বাচনী হাওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকবে রাজনৈতিক হাওয়া। তফসিল ঘোষণার পর চূড়ান্ত হবে স্থানীয় এমপির সুদৃষ্টিতে রয়েছেন কোন কোন চেয়ারম্যান।