সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের উন্নত চিকিৎসা ও নিজের ভুলকে সুধরাতে মাঠে ফিরে যেতে চায় জাতীয় দলে এক সময়ের নিয়মিত মুখ দ্রুত গতির বোলার শাহাদাত হোসেন রাজীব।
তবে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞায় জীবনের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় এখন দিন কাটাচ্ছে দূরন্ত এই পেসার। বন্ধ রয়েছে ক্রিকেট মাঠে আয়ের সকল উপার্জন।
এ বিষয়ে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে প্রতিবেদককে শাহাদাত হোসেন রাজীব জানান, আমার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, আপনারা জানেন এই রোগে চিকিৎসা ব্যায় অনেক। তবে এমন সময় আমার খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় উপার্জনও বন্ধ। তবে আমার মায়ের সপ্ন, সে যেন আমাকে আবারো জাতীয় দলের হয়ে আবারো মাঠে খেলতে পারি। আমার কাছে মা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাছাড়া কোন সন্তানই মাকে কষ্ট দিতে চায় না। তাই এই মুহুর্তে আমার জন্য মাঠে ক্রিকেট খেলাটা শুরু করা অনেক গুরুত্বর্পূণ।
এদিকে আবেগাপ্লুত কন্ঠে শাহাদাত হোসেন রাজিবের মা বলেন, আমি আর কিছু চাই না। আমি আমার সন্তানকে জার্সি পড়ে মাঠে খেলতে দেখতে চাই। বিসিবি বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, উনারা যেন এই সহযোগীতাটা করেন। আমি হয়তো আর বেশীদিন বাঁচবো না। তবে আমার এটা শেষ ইচ্ছা, যেন ছেলের খেলাটা আবার দেখতে পারি।
বড় ভাই সেলিম বলেন, আমার মা সারাক্ষণই ছোট ভাইয়ের জন্য টেনশনে থাকে। আর পুরনো স্মৃতি মনে করে ছোট ভাইয়ের আগের খেলার ভিডিওগুলি দেখে আর কাঁদে।
তার বোন জানান, শাহাদাত হোসনে রাজিব ভাইয়া সবসময়ই এখন চিন্তায় পড়ে থাকে। এদিকে মা অসুস্থ। সবমিলিয়ে আমরা এখন খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। আর ভাইয়া আমাদের পরিবারে অনেক সাপোর্ট দেয়। এমন অবস্থায় আমরা সবাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে জাতীয় ক্রিকেট লীগের সবশেষ আসরে সতীর্থের গায়ে হাত তুলে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন শাহাদাত হোসেন রাজিব। গুনতে হয়েছে ৩ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও। তবে বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রাজিবের মা। শেষ সময়ে মায়ের সপ্ন, আবারো দেশের জন্য ক্রিকেট ও বল হাতে নিয়ে মাঠে খেলবে রাজিব।