সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মানববন্ধনের নামে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দীন আহমেদ।
১৩ মার্চ শনিবার বেলা ২টায় বন্দর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিফিং এ তিনি বলেন, আমি একজন সন্তান হারা বাবা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোঝা হচ্ছে বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। এ ভার আমি আর বহন করতে পারছি না৷ গত বছর ১০ই আগষ্ট আমার সন্তান স্কুলছাত্র জিসান আহম্মেদ (১৫) ও তার বন্ধু মিহাদকে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এঘটনায় আমি ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করি। পরবর্তী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকর্তৃক আটককৃত মোক্তার হোসেন, মোঃ আলভি, আহমদ আলী ও মোঃ কাশেমকে গ্রেফতার করে। এঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে হত্যায় জড়িত থাকায় দেলোয়ার হোসেন বাবু, হান্নান,আবু মুছাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে তারা আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ তদন্ত করে বড় শামিম, হান্নান সরকার, নাহিদ, টিএন্ডটি বাবু,ছোট শামিম, রবিন, রনি,রয়েল, শাকিল, নজরুল ইসলাম নজু, বাবু, আবু মুছা, সায়মন, বাবু(২), রাজন, সজিব, সাজ্জাদ,জাহান, শাওন, শান্ত, আরিফ, লিজন, জয়, রিয়াদ, এদের জড়িত বলে প্রমান পায়। এজহার নামীয় ও পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীরা জামিনে বের৷ হয়ে এসে আমাকে গোপন বৈঠক করে পলাতক আসামীদের সাথে গোপনে বৈঠক করে পলাতক আসামী শামিম বাহিনীকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাজানো মানববন্ধন করে প্রকাশ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে বেরাচ্ছে। গত ১২ মার্চ দিবাগত রাত ১০ টায় এজহার নামীয় আসামী মুক্তারের নেতৃত্বে কয়েকজন আসামী বাগবাড়িস্থ আমার নিজ বাড়িতে আমাকে খোজা-খুজি করে না পেয়ে আমার ছোট বোন শিউলী আক্তারকে হুমকি দিয়ে চলে আসে।
সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আসামীরা আমার ও আমার পরিবারের যে কোন সময় বড় রকমের ক্ষতি-সাধনসহ খুন খারাপীর মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা আছে। আপনাদের মাধ্যমে এই সকল আসামীদের পূনরায় গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ও দ্রুত এদের বিচার সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।