সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ শহরে শায়েস্তা খান রোডে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান থেকে চাঁদাবাজি করার সময় ১ চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৪ মার্চ রবিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম্উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১, সিপিএসসি’র অভিযানে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেলা সরকারী গণ গ্রন্থাগারের বিপরীতে শায়েস্তা খান রোডে ফুটপাতে অবস্থিত অস্থায়ী দোকান হতে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করার অপরাধে মোঃ আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস নামক ১ চাঁদাবাজকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হেফাজত হতে চাঁদাবাজির নগদ ৪ হাজার ৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন নদীরাবাদ এলাকার গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
র্যাব আরও জানায়, পলাতক আসামী মোঃ সোহেলের নেতৃত্বে একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন জেলা সরকারী গণ গ্রন্থাগারের বিপরীতে শায়েস্তা খান রোডের ফুটপাতে অস্থায়ী দোকানগুলো হতে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এই চাঁদাবাজ চক্রটি বলপ্রয়োগ করে ফুটপাতের প্রতিটি অস্থায়ী দোকান মালিকদের গুরুতর আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দোকানপ্রতি ৪০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা করে আসছিল।
ভুক্তভোগী কয়েকজন অস্থায়ী দোকান মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা যাচাইপূর্বক র্যাব-১১, সিপিএিসসি’র একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাসকে চাদাঁবাজির নগদ ৪ হাজার ৪০ টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উদ্ধারকৃত টাকাগুলো চাঁদাবাজির টাকা বলে গ্রেপ্তারকৃত আসামী স্বীকার করে। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী স্বীকার যে, সে পলাতক আসামী মোঃ সোহেল এর প্রত্যক্ষ মদদে ও যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে আসছে।
সে আরও স্বীকার করে যে, ফুটপাতের প্রতিটি অস্থায়ী দোকান মালিকদের গুরুতর আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দোকানপ্রতি ৪০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা করে আসছিল। এই চাঁদাবাজ চক্রের অত্যাচারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
