সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের খেলায় ঝগড়ায় নিজের ছেলের পক্ষ নিয়ে আরও ৬ শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে এমদাদ হোসেন নামে এক বদমেজাজী। এ ঘটনায় এমদাদ হোসেনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, বন্দরের ৪১নং বিবিজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ৬ শিশু শিক্ষার্থীকে বেধরক পিটিয়ে আহত করেছে বহিরাগত এমদাদ হোসেন সহ বেশকজন। ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে বন্দর ইউনিয়নের বিবিজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার কর্মকার বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
৬ জনের মধ্যে ২ জনকে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৪ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার কর্মকার জানান। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু তালেব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্কুল সূত্রে, বন্দরের ৪১নং বিবিজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন, কাউসার, মুন্না, মিনহাজ, জিহাদ ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাকিবুল রবিবার দুপুরে টিফিনের সময় স্কুল সংলগ্ন বালুর মাঠে খেলা করছিল। এ সময় লম্বাদরদী এলাকার এমদাদের ছেলে সানজিদ অন্যান্য ছাত্রদের খেলা বন্ধ করে দেয়। এতে ছাত্ররা বাধা দেয় ও তাদের শিক্ষকদের জানায়। সানজিদ বাসায় গিয়ে বিষয়টি তার বাবা এমদাদ হোসেনকে জানালে বদমেজাজী এমদাদ, বিবিজোড়া এলাকার নজরুল ইসলাম, সাজেদা ও আলাউদ্দিন লাঠি সোঠা নিয়ে বালুর মাঠে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে। ছাত্র কাউসার ও মুন্না শহরের খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও অন্য ৪ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আনসার আলী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর তাদের হাত উঠে কিভাবে। শিক্ষার্থীদের মারধরের পর এমদাদ, নজরুল, আলাউদ্দিনসহ ৬ থেকে ৭ জন গিয়ে শিক্ষিকাদের প্রতি অশ্লীল আচরণ সহ বাড়াবাড়ি করলে ২ দিনের মধ্যে বদলী করিয়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে আসে বলে শিক্ষিকা হোসনে আরা সোনালী, কামরুল নাহার সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা জানান।
এদিকে তাদের হুমকিতে অনেকটা আতংকগ্রস্থ শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের প্রায় ২শ’ শিক্ষার্থী দুপুর থেকে ক্লাস বর্জনপূর্বক মিছিল করে এবং তাদের বিচারের দাবীতে শ্লোগান দেন। এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তদন্ত সাপেক্ষ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।