সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া। যার পিছন থেকে সমর্থন দিয়েছেন স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুু। এর কারন হিসেবে জানাগেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার বর্তমান এমপি বাবুর কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত এবং তিনি জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল পারভেজের পক্ষে কাজ করেন। যে কারনে এখানে এমপি বাবুর রাজনীতিতে একক কর্তৃত্ব ধরে রাখতে শাহজালাল মিয়াকে প্রার্থী করিয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবি নেতাকর্মীদেরও।
জানাগেছে, আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি রাজনীতি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজের বলয়ে। তবে এ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর পছন্দ ছিল আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেলো সরকার ইকবাল পারভেজের পক্ষে কাজ করেছিলেন। ইকবাল পারভেজ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। আর শাহজালাল মিয়া কাজ করেছিলেন এমপি বাবুর পক্ষে।
মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও ৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাৃিখল করেছেন শাহজালাল মিয়া। তিনি আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচন কমিশন বরাবর মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদিকে সংঘর্ষের ভয়ে গুটিকয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন হেলো সরকার।
নারায়ণগঞ্জে এসে মনোনয়ন দাখিলের বিষয়ে বলতে গিয়ে মুজাহিদুর রহমান হলো সরকার বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি কাউরে ডরাইনা। তিনি বলেন, নৌকার মালিক শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। উনি আমাকে আড়াইহাজারের মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি মনে করি আড়াইহাজার আওয়ামীলীগের দূর্গ সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীরা আনন্দিত।
আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা আপনার সঙ্গে রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে করি আড়াইহাজারে নৌকার পক্ষে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ যারা করেন তারা সবাই নৌকার পক্ষে তাদের থাকতে হবে। যারা শেখ হাসিনার আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ^াস করেনা তারা নৌকার বাহিরে যেতে পারেনা।
আড়াইহাজার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি আপনার সঙ্গে মনোনয়ন দাখিলে আসেননি এর কারন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। আড়াইহাজারের এমপির সঙ্গে আমি আলাপ আলোচনা করেছি। কাগজপত্র নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি তারা দাবিদার আমি মনে করি তারা আমাকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। সেক্রেটারিকে আমি ফোন করেছি তিনি বলেছেন তিনি আমার সঙ্গে আছেন।
আড়াইহাজার রেখে আপনি নারায়ণগঞ্জে এসে মনোনয়ন দাখিল করলেন কেন আপনি কি কোন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানতে চাইলে হেলো সরকার বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে লড়াই করেছি। এরশাদের সঙ্গে লড়াই করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ঢাকার রাজপথে প্রথম আমি মিছিল করেছি। আমি আবার কাকে ভয় পাবো? আমি কাউরে ডরাইনা। কাউরে ভয় পাই নাই। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক।’