সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে টাউট বাটপার দালাল উচ্ছেদের লক্ষ্যে শিক্ষানবিশ ও আইনজীবী সহকারীদের জ্ঞাতার্থে এক জরুরী নোটিশের মাধ্যমে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। এই নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়। একই সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীগণের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
গত ২৫ মার্চ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয় ১ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।
নোটিশে বলা হয়- কোনো শিক্ষাণবিশ নির্ধারিত পোষাক, লাল টাই/লাল বেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ইস্যূকৃত আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো ব্যতিত আইনজীবী সমিতির ভবন, আদালত অঙ্গন, আদালত কক্ষ, কোর্ট প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবে না। একইভাবে একই নির্দেশনা মানতে আইনজীবী সহকারীদের (মুহুরী) প্রতিও নির্দেশনা রয়েছে।
নোটিশে বলা হয়- যদিও কোন শিক্ষানবিশ ও আইনজীবী সহকারী এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তার আইডি কার্ড স্থায়ীভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ আদালতপাড়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এবং টাউট বাটপার হিসেবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে জানাগেছে, বার কাউন্সিল ২০১৬ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল যে, কোনো শিক্ষানবিশ আদালতপাড়ায় কালো কোট ও কালো টাই পড়তে পারবেনা। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সমিতির নির্ধারিত টাই (কালো ব্যতিত) পড়তে হবে। একই সঙ্গে আইনজীবী সমিতির দেয়া পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) সঙ্গে রাখতে হবে।
কিন্তু বার কাউন্সিল ও আইনজীবী সমিতির কোন নিয়মই মানছেনা নারায়ণগঞ্জের শিক্ষানবিশরা। ক’জন লাল টাই পরিধান করলেও বাকিরা পড়ছেনা। উল্টো যারা সমিতির নিয়ম মেনে লাল টাই পরিধান করছেন তা নিয়ে অনেক শিক্ষানবিশ তা তিরস্কার ও পরিহাস করেন। অনেকেই কালো কোট পরিধান করেন, যে কারনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থীরা কোর্টে এসে তাদেরকেই আইনজীবী ভেবে প্রতারিত হচ্ছেন। পুরুষ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মধ্যে কেউ কেউ লাল টাই পরিধান করলেও নারী শিক্ষানবিশদের মধ্যে একজনকেও লাল বেন পরিধান করতে দেখা যায় না।
অনেকেই জানিয়েছেন, আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হলো কেউ কেউ আইন কলেজে ভর্তি হয়েই শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছেন। কেউ কেউ প্রিলি পরীক্ষা দিয়েছেন তারাও শিক্ষানবিশ পরিচয়ে কোর্টে কাজ করছেন।