সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারী সহ (হেফাজত নেতার দাবিমতে দ্বিতীয় স্ত্রী) হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় বিক্ষুব্দ হেফাজতের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর করেছে। কার্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ বাদল।
এ ছাড়াও সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর তান্ডবলীলা চালিয়েছে হেফাজতের কর্মীরা। তার কার্যালয় ও বাড়ি পরিদর্শন করেছেন শহীদ বাদল।
জানাগেছে, ৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে রয়েল রিসোর্টে এক নারী সহ বিশ্রামে যান হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্ট ভাংচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়।
ওই ঘটনার পর হেফাজতের নেতাকর্মীরা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনির বাসায় হামলা ভাংচুর চালায়। একই সঙ্গে নান্নুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও হামলা ভাংচুুর চালানো হয়। একই সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাংচুুর করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এদিকে ৪ এপ্রিল রবিবার নান্নু ও সোহাগ রনির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হেফাজতের নেতারা।
শনিবার রাতে হেফাজতের তান্ডবে ভাংচুর হওয়া সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয় ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ী ও বাসস্থান রবিবার পরিদর্শণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু।
ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারষ সম্পাদক মোঃ আলী হায়দার, সহ-সভাপতি মোঃ রাশেদউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাসুদ রানা মানিক, কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহাবুব পারভেজ, বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ সরকার, সহ-সভাপতি, এইচ এম আসাদুজ্জামান, সনমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সহ অন্যান্য নেতারা।