সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার প্রার্থীতাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্র্নিং অফিসার মোহাম্মদ আতাউর রহমান। প্রার্থীতা বৈধতা পাওয়ার পরপরই রূপগঞ্জের মানুষের কাছে ছুটে যান তরুণ এই আইনজীবী নেতা।
জানাগেছে, ৬ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের যাচাই বাছাই করা হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাবিবুল কাদির তমালের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কমিশনার ও রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ আতাউর রহমান। এনপিপি এর প্রার্থী এস আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, ইউসুফ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হারেজ, মোতাহার হোসেন নাদিমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং অপর প্রার্থী আব্দুল আলীম সকরকারের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসরিন আক্তার চম্পা, হ্যাপী বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা ও সায়রা তাহসিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
রূপগঞ্জের মানুষ বলছেন, আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে নেমেছেন ৬ জন প্রার্থী। ইতিমধ্যে ৪ মার্চ সোমবার নির্বাচন কমিশন বরাবর মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন তারা। এই ৬জন প্রার্থীর মধ্যে রূপগঞ্জে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। একজন ক্লিন ইমেজের আইনজীবী নেতা কয়েক মাস ধরেই রূপগঞ্জে ব্যাপক গণসংযোগ করে আলোচনায় এসেছেন সবার আগে। নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীকের আস্থাভাজন এই আওয়ামীলীগ নেতা ইতিমধ্যে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন হলেও ইতিমধ্যে ভোটারদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সহ-সভাপতি ও রূপগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি। কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসেন এই আইনজীবী। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠেনি।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, রুপগঞ্জ উপজেলায় স্বপন একজন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে খুব পরিচিত মুখ। মনোনয়ন পত্র দাখিল করেই পুরোদমে নেমে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠ রুপগঞ্জে। ইতিমধ্যে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জের ভোটের মাঠে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি যে শুধুমাত্র একজন সাধারণ মানুষের মত চলাফেরা করেন। একজন সাদা মনের আইনজীবী হিসেবেও তিনি পরিচিত।
স্থানীয়রা আরও বলছেন, নেতাকর্মীর বিশ্বাসের অন্যতম এক প্রতিষ্ঠান হলেন এই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপন ভূঁইয়া। খুব অল্প সময়েই সকলের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের ভোটারদের দ্বারে। সাধারণ জনগণের সঙ্গে খুব সহজেই মিশেন তিনি। এছাড়াও গণসংযোগে যাওয়ার পথে রাস্তায় কোনো অসহায়, কোনো রিকশাচালক, বঞ্চিত কারো দেখা মিললেই হঠাৎ দাড়িয়ে যান তিনি এবং শুনেন তাদের সুখ-দুঃখের কথা। তাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়াই অন্যসব প্রার্থীদের চেয়ে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষ রয়েছেন।