সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ জাতীয়পার্টিকে জড়িয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের এক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টি। জাতীয়পার্টি দাবি করেছে- কায়সার হাসনাত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বক্তব্য দিয়েছেন।
৫ এপ্রিল সোমবার বিকেলে উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই দাবি করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গত শনিবার (৩এপ্রিল) সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে কেন্দ্র করে সংগঠিত ঘটনার পরবর্তীতে ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল কায়সার হাসনাত সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়পার্টি সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন- তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, কল্পনাপ্রসূত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আব্দুল্লাহ-আল কায়সার হাসনাতের ওই বক্তব্যের মধ্যে সামান্যতম সত্যতাও নেই।
জাতীয়পার্টি আরো দাবি করেছে- নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন হতে টানা দু‘বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশনায় সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি সর্বদাই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ ও কার্যকর করে আসছেন। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল কায়সার হাসনাত গত নির্বাচনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে না পারায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে জাতীয় পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করলেও মহাজোট সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের কোন বিবরণ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ নেই। অথচ অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক সাংসদ সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল কায়সার হাসনাতের পক্ষ হতে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি সম্পর্কে যে বানোয়াট ও অসত্য বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে, আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নারী সহ অবরুদ্ধ রাখার ঘটনায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টে হামলা ভাংচুর চালায়। একই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুুর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর চালানো হয়। ওই ঘটনায় ৪ এপ্রিল বিকেলে আওয়ামীলীগের এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত।
ওইদিন বক্তব্যে কায়সার হাসনাত বলেন, হেফাজত ইসলাম যে তান্ডব চালিয়েছে, আমি মনে করি এটা পরিকল্পিত একটি ঘটনা। হেফাজত ইসলামকে সামনে রেখে জামায়াত বিএনপি ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসে হামলা করেছে। তারা হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে।