সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস হানা দেয়। করোনা যখন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে অথবা কেউ যখন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তখন কেউ লাশ দাফনে এগিয়ে আসতে চায়নি। ঠিক তখনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাশ দাফনে এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
এর আগে থেকে তিনি শুরু করেন করোান রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বাড়ি বাড়ি ওষুধ বিতরণ। হেক্সিসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করেন খোরশেদ। এতে সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন বেশকজন যুবক। ওই সময় খোরশেদের এমন কার্যক্রমে সহযোগীতা করেছিলেন তারই সহধর্মিনী আফরোজা খন্দকার লুনা। হ্যাক্সিসল ও হ্যান্ডস্যানেটাইজার তৈরির কাজেও তিনি ছিলেন। এসব কাজে ফাক ফোকরে অংশগ্রহণ করতো খোরশেদের পুত্র নকীব খন্দকার।
করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৬৩টি লাশ দাফন ও সৎকার করেছে টিম খোরশেদ। এসব লাশ দাফন ও সৎকারে অনেক সময় টিম খোরশেদে অংশগ্রহণ করতো কাউন্সিলর পুত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী নকীব খন্দকার।
কিন্তু টিম খোরশেদের পুরো টিম এবং কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার সহধর্মিনী করোনাকালের মানবিক কার্যক্রম মিডিয়াতে ওঠে আসলেও আড়ালেই থেকে গেল নকীব খন্দকারের অংশগ্রহণ ও তার ভুমিকা। পিপিই পরিধান করে লাশ দাফন ও সৎকারে নকীব খন্দকারের অংশগ্রহণ কারো চোখে না পড়লেও সম্প্রতি বেশকটি লাশ দাফনে তাকে দেখা গেছে।
জানাগেছে, ৫ এপ্রিল টিম খোরশেদ ১৬৩তম করোনা আক্রান্ত রোগীর লাশ দাফন করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পাইনাদী নিবাসী হাজী নাজিম উদ্দীন (৭০) করোনা আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৪ এপ্রিল রবিবার রাত ১১ টায় ইন্তেকাল করেছেন।
মরহুমের পরিবারের আহবানে Team Khorshed-13 vs Covid-19 এর স্বেচ্ছাসেবকরা বাদ ফজর মরহুমের গোসল ও জানাজা শেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরাস্তানে দাফন সম্পূর্ণ করেছেন।
টিমে ছিলেন হাফেজ শিব্বির, নাজমুল কবীর নাহিদ, হাফেজ রিয়াদ, আনোয়ার হোসেন, সুমন দেওয়ান, মোঃনকীব খন্দকার ও নাঈম মোল্লা।