সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩ এপ্রিল শনিবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুুর ও হামলার ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
একই সঙ্গে হেফাজতের হামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনির বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুুরের দৃশ্য পরিদর্শন করেন নেতারা।
৭ এপ্রিল বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম, এমপি বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, এমপি একেএম শামীম ওসমান, এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, এমপি মৃনাল কান্তি, সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুর ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ভাংচুর করা বাড়ীঘর ও পার্টি অফিস পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা সাংবাদিকদের জানান, সোনারগাঁয়ে ওইদিন যা ঘটেছিল তা একটি ন্যাক্কারজনক ঘঁটনা। সেই ঘঁটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা পাকিস্তানের প্রেত্মাতা হয়ে এখনো বাংলাদেশে বসে ইসলামের নাম বিক্রি করে রাজনীতি করে তারা ইসলামের হেফাজত করতে পারে না। তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য মাদ্রাসাগুলোকে ব্যবহার করছে। আসলে তারা ইসলামের কিছুই না। যারা ইসলামের হেফাজতের জন্য কাজ করে তারা কখনো মানুষের বাড়ীঘর ভাংচুর করতে পারে না।
তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় পরিদর্শ ছাড়াও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির বাড়িঘর ভাংচুরের দৃশ্য পরিদর্শন করেন।
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩ এপ্রিল শনিবার সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারী সহ আসেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক। ওইদিন স্থানীয় লোকজন তাকে নারী সহ অবরুদ্ধ করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনি। অবরুদ্ধ করে রাখার খবরে হেফাজতের লোকজন রয়েল রিসোর্ট ভাংচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়। একই সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় এবং নান্নু ও সোহাগ রনির বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর চালায়।