সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের খোঁজ খবর নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
৯ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকে দেখতে যান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।
এ সময় তার সাথে আরোও উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল সহ জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এ সময় এমপি খোকা আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং যেকোন পরিস্থিতিতে তার পাশে থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
এ বিষয়ে এমপি খোকা বলেন, সাংবাদিকরা হলো দেশের দর্পন। একজন নীতিবান নির্ভীক সাংবাদিকের উপর যেভাবে হেফাজত কর্মীরা তান্ডব চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে অপরাধীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল শনিবার সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক নারী সহ (তার দাবিমতে দ্বিতীয় স্ত্রী) অবরুদ্ধ করে রাখার সময় ভিডিও ধারণ করায় স্থানীয় সংবাদকর্মী হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়।
৩ এপ্রিল শনিবার সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারী সহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়রা। ওই খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও সেখানে ছুটে যান। সেখানে সংবাদকর্মী হাবিবুর রহমানও ভিডিও ধারণ করছিলেন। কিন্তু হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভুয়া অভিযোগ তুলে ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের উস্কে দেয় সন্ত্রাসীরা।
শনিবারের ঘটনার পর হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে এবং তার এলাকার কিছু দূর্বৃত্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় হাবিবুর রহমান মাওলানা মামুনুল হকের দাড়ি ধরে টানাটানি করেছিল। হাবিবের ছবি সহ ফেসবুকে প্রচার করে দাড়ি ধরে টানার ভুয়া মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের উস্কে দেয় এক শ্রেণির দূর্বৃত্তরা।
ফেসবুকে প্রচারিত কোন ভিডিওতেই হাবিবুর রহমান হাবিব মাওলানা মামুনুল হকের দাড়িধরে টেনেছিলেন এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। হাবিুবর রহমান নিজেও দাবি করেছেন তিনি এমন কাজটি করেননি। এমনকি উপস্থিত অনেক সাংবাদিকও বলেছেন কোনো সাংবাদিকই মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে অসধাচারণ করেননি। সাংবাদিক বাদে অন্য কেউ এমনটা হয়তোবা করতে পারেন। একজন সহজ সরল নিরীহ হাবিবুরের বিরুদ্ধে হেফাজতকে উস্কে দিয়েছেন হাবিবুর রহমানের এলাকার ও তার পার্শবর্তী এলাকার বেশকজন ব্যক্তি যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।
পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল সংবাদকর্মী হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। শনিবারও হাবিবুর রহমানের বাড়িতে যায় হেফাজতের লোকজন। কিন্তু সেদিন তাকে না পেয়ে ফিরে গেলেও ৫ এপ্রিল পুণরায় হামলা চালিয়ে হাবিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করে।
ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থানায় মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান। মামলায় সন্ত্রাসী মোস্তফা নামের এক জামাত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে তাকে তার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।