সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে ভাংচুর ও মহাসড়কে নাশকতার মামলার প্র্রধান আসামি খেলাফজত মসজিল সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন ও অন্যতম আসামী হেফাজত ইসলামের উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মহিউদ্দীন খান সহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ১২ এপ্রিল সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর অভিযানে ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেইট বাজার মসজিদের সামনে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে হতে গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের ‘রয়্যাল রিসোর্ট’ এ ব্যাপক সহিংসতা, হামলা ও ভাংচুর মামলার প্রধান আসামী মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসেন সহ চার হেফাজত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন, উপজেলা হেফাজত ইসলামের আমির হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন, হেফাজতের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ শাহজাহান খাঁন শিবলী ও হেফাজত ইসলামের সহ-সভাপতি হাফেজ মোয়াজ্জেম হোসেন।
র্যাব আরও জানায়, গত ৩ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক একজন নারী সহ সোনারগাঁয়ের ‘রয়্যাল রিসোর্টে’ সন্দেহজনকভাবে স্থানীয় জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হেফাজতকর্মীরা রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরসহ এলাকায় তান্ডব সৃষ্টি করে। রয়্যাল রিসোর্ট ছাড়াও হেফাজতকর্মীরা ঘটনার দিনে সোনারগাঁ এলাকার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক সহিংসতা, গাড়ি ভাংচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নি সংযোগ করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার এবং সরকারী কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে।
ঐ সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম ও খেলাফতে মজলিশ, সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসেন মাগরিবের নামাযের পর মসজিদের মাইকে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে এবং উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেয়। উক্ত ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ ও পুলিশ কর্তৃক বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা উক্ত মামলাগুলোর অন্যতম এজাহারনামীয় আসামী।