সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি ভয় পাচ্ছি।
করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাস একতো রমজান মাস, এরপর করোনা মহামারী একদম ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। পিসিআর ল্যাবেও ধরা পড়ছেনা, একচুয়ালি করোনা আছি কিনা। নারায়ণগঞ্জের টেষ্টে ধরা করোনা আছে, ল্যাবএইডে ধরা পড়ছে নাই। আবার আরেক টেষ্টে ধরা পড়ছে আছে। সুতরাং এই রোগটা এমন একটা আকৃতি ধারণ করছে বুঝতেই দিচ্ছেনা আছে কিনা নাই। মানুষকে বুঝতে দিচ্ছেনা। ভিতরে ৪৫% ড্যামেজ করে দিচ্ছে।
১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি একটু সত্যি নার্ভাস। এই যে সামনে লকডাউন আসতাছে আমার মনে হয় না সাতদিনেও হবে। এই লকডাউন বাড়বে। এই সময়টা আমাদেরকে খাবার পৌঁছে দেওয়া, চিকিৎসা দেওয়া সিস্টেমে নিয়ে আসা দরকার। এই বিষয়গুলো গত সময়ে আমার ছোট বোন নাহিদা বারিক যেভাবে রাতদিন পরিশ্রম করে একটি সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসেছিল। আমি নাহিদার জন্য এবং তার বাবা মা সন্তান জন্য দোয়া করি। সে যেখানেই কাজ করে না কেনো যেন ভালো থাকে।
শামীম ওসমান বলেন, স্বার্থপরের মত কথা বলি, স্বার্থপরের মনের কথা বলছি এরজন্য আমি একটু চিন্তিত এবং আতঙ্কিত, লজ্জা কাজ করছে আমার মধ্যে। সদর উপজেলায় সিদ্ধিরগঞ্জ ফতুল্লা সব মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ লোকের বসবাস। ৩০ লাখের বেশি হবে কম হবে না। সুতরাং ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ লোকের একটা বছর গত একটা বছর বিশেষ করে এই করোনাকালীন সময় বাজে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সামনে কি পরীক্ষা দিয়েছিলো। স্পষ্টবাদী লোক স্পষ্টভাবে কথা বলতে পছন্দ করি। আমলাতন্ত্র খুবই ভালো জিনিস। কিন্তু আমলাতন্ত্র যে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় তা আমি মনে করি না। আমি এজন্য বলছিলাম। আমি বলছি না যে নাহিদা এখানে থাকুক। যিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে আসবেন তিনি তার চেয়েও ভালো কাজ করবে। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা এবং কি সরকারি প্রতিটি সেক্টরে যদি নাহিদার মতো ১০জন করে মানুষ থাকতো তাহলে বাংলাদেশ অনেক আগেই তার লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারতো আমার বিশ্বাস।
‘কারন একটা হচ্ছে আমি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী। সরকারের নির্দেশনায় কাজ করি। আরেকটা হচ্ছে দেশটা আমার আমি দেশটাকে ভালবাসি দেশের জন্য কাজ করি। আমার দেশ, আমর মানুষ , আমার এলাকা আমার দায়িত্ববোধ আনুগত্য দেশপ্রেম এই জিনিস আমি মনে করি আজকে যে বিদায় দিচ্ছি আমার ছোট বোন নাহিদা বারিকের মধ্যে সবকিছু ছিল। এই প্রত্যেক কোয়ালিটি আমার চেয়ে তার অনেক বেশি ছিল। আমি হনেস্টলি কথাগুলো বলছি তা দায়িত্ববোধ অনেক বেশি ছিল।’
‘আমি কখনোই উপজেলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি নাই। আমাকে বলে সই দিতে আমি কোন কিছু না দেখি সই করে দেই। আমি শুধু একটি কথাই বলি ভাই আমার যেন বদনাম না হয়। কোন কাগজ দেখে সই দেই না। কোন কাগজে যদি লেখা থাকে আপনার সম্পত্তি আমাকে দান করে দেওয়া হয়েছে ওইটার মধ্যেও আমি সই করে দিব। কারণ আমি বিলিভ দ্য ম্যান আমি মানুষকে বিশ্বাস করি। আমাকে সম্মান আল্লায় দিছে আমি পাইছি।’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শওকত আলী, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগর, এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন প্রমুখ।