সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে লড়ছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। মোশারফ হোসেন হলেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে পাকাপোক্ত করেছিলেন প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হাসনাত যিনি কায়সার হাসনাতের পিতা। তবে এই হাসনাত পরিবার নিয়ে সোনারগাঁও পৌরসভা ছাত্রলীগের এক নেতার ফেসবুকে স্ট্যাটাজ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ওই ছাত্রলীগ নেতা নৌকা প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে নিয়ে বেশকিছু কথাও বলেছেন। স্ট্যাটাজের একটি অংশে ছাত্রলীগ নেতা লিখেছেন ‘ হাসনাত পরিবারের রাজনীতি করতে সোনারগাঁবাসী ভয় পায়’। সোনারগাঁও পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা এইচএম ওমর ফারুফ ওই স্ট্যাটাজ দেন।
স্ট্যাটাজে এইচএম ওমর ফারুফ নৌকা প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, মোশারফ চাচা আজ আপনাকে কিছু কথা বলি- আজ যেই কথাগুলো আমি বলবো সেই কথাগুলো চিরন্তন সত্যি। আমি কারোর মনে কষ্ট বা আঘাত করার জন্য কথাগুলো বলছিনা। কথাগুলো বলতে হচ্ছে আপনার ভালোর জন্যে এবং আপনাদের মন থেকে ভালবাসি বলে। রাজনীতি করতে হয় ঠান্ডা মাথায়, রাজনীতি মানেই হচ্ছে পলিটিক্স আর পলিটিক্স মানেই হচ্ছে রাজনীতি!
তিনি আরও লিখেন, আপনাদের যদি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেন- প্রয়োজনে তাদের বাসায় যান। আমর প্রতিহিংসার, মারামারির নির্বাচন চাইনা। আমরা চাই অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন। আমরা সোনারগাঁও উপজেলার মানুষ বহু বছর পর নৌকা প্রতীক পেয়েছি। আমরা চাইনা আমাদের অধিকার কেউ নষ্ট করুক। আমাদের অধিকার আমাদের ফিরিয়ে দিন! রাগ আর অহংকার মানুষকে ধংস করে দেয়। এখন রাগ জিদ করার সময় না। নির্বাচনে জিততে হলে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করুন। নৌকা প্রতীক পেলেই কিন্তু আমাদের জয় এখনও নিশ্চিত না।
এর কারন হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা লিখেন, কারন আমাদের শত্রু এখন আমাদের ঘরের মানুষ। আর ঘরের ইঁদুর যদি বান কাটে সেই বান কখনো জোড়া লাগানো যায়না। তাই কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে চাচা। আপনাদের এবং হাসনাত পরিবারের রাজনীতি করতে সোনারগাঁবাসী এখন ভয় পায়। কারন আপনারা কথায় আর কাজে এক না। নেতা তো তাদেরকেই বলে যারা কর্মীদের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে। এখনকার রাজনীতি করতে চাচা অনেক টাকা লাগে। আর আপনাদের তো কোনো দিক দিয়ে কমতি নেই। অঢেল সম্পদের মালিক আপনারা কিন্তু রাজনীতিতে খরচ করতে রাজি নন কেনো? সেই দিন আর এখন নেই যে, আপনাদের নামের উপর ভরসা রেখে মানুষ ভোট দিবে। অতএব সিদ্ধান্ত ও অভ্যাস পাল্টান। এই নৌকা কিন্তু আপনাদের পরিবারে অস্তিত্বের লড়াই। এইবার ভুল করলে সারাজীবনের জন্য নৌকা হতে নেমে যেতে হবে সুতরাং সাবধান…….।
ছাত্রলীগ নেতা লিখেন, এখনো সময় আছে নৌকার কর্মীদের দিকে একটু হৃদয় খুলে তাকান। এতো টাকা পয়সা দিয়ে কি করবেন যদি সম্মানই রক্ষা করতে না পারেন। আপনারা সামান্য কিছু টাকার জন্য আপনাদের অস্তিত্ব আপনারা নিজেরা ক্ষুন্ন করছেন। একটা কথা মনে রাইখেন আপনাদের রাজনীতি করে কিন্তু সোনারগাঁওয়ের কোন মানুষ কিছু পায়নি। পাইলে পাইছে আপনাদের মোগরাপাড়ার মানুষ। তো কেনো সাধারণ মানুষ আপনাদের পিছনে দৌড়াইবে?