সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অননুমোদিত কারখানায় ভেজাল খাদ্য পানীয় তৈরির দায়ে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময় অভিযানে বিপুল পরিমান ভেজাল খাদ্য পানীয় জব্দ করা হয়। ১৮ এপ্রিল রবিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গত ১৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র্যাব-১১, সিপিএসসি এর অভিযানে অননুমোদিত কারখানায় ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরির সময় হাতেনাতে ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলো- মোঃ কবির হোসেন।
এসময় কারখানায় তৈরি অবস্থায় বিপুল পরিমান ক্রিস্টাল অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, লাচ্চি মিল্ক ফ্লেভার ড্রিংকস্, আইস ললী ম্যাংগো জুস, ইন্ডিয়ান গুড়া বিট লবণ, ভেজাল জুস তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কেমিক্যাল ও ভেজাল জুস তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ফ্লেভার উদ্ধার করা হয়। উলেখ্য যে, উক্ত অভিযানের সময় কারখানার এমডি মোঃ রশিদ আলী কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সে সহ পলাতক আসামী পরষ্পর যোগসাজশে কয়েক বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় সরকারী অনুমোদন না নিয়ে ‘আর এন আর ড্রিংকস এন্ড এগ্রো প্রোডাক্টস’ নামক ফ্যাক্টরী চালিয়ে আসছিল।
উক্ত ফ্যাক্টরীতে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় ক্রিস্টাল অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, লাচ্চি মিল্ক ফ্লেভার ড্রিংকস্, আইস ললী, ম্যাংগো জুস, ইন্ডিয়ান গুড়া বিট লবণ সহ বিভিন্ন ধরনের ভেজাল পানীয় বিএসটিআই এর অনুমোদন না নিয়েই বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে।
তারা অবৈধ উপায় অবলম্বন করে সোনারগাঁ থানাধীন বড়গাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে যা শিশু ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, উক্ত ফ্যাক্টরীর নামে কোন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নেই। তারা কোন প্রকার মূসক প্রদান না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সকল অননুমোদিত ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।
উলেখ্য যে, গত ১০ আগষ্ট ২০২০ তারিখ একই ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করা হলে ফ্যাক্টরীটি কিছুদিন বন্ধ রেখে তারা পুনরায় চালু করে।