সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক নারী সহ অবরুদ্ধ ও তান্ডবের ঘটনায় সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ ওটেছে। জাতীয়পার্টির নেতারা বলছেন, ঘটনাটিতে ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ অর্থাৎ সেই হেফাজতের তান্ডবের দায় জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে এবং জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাতীয়পার্টির শীর্ষ দুইজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা নাই।
এমন পরিস্থিতিতে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহাম্মেদ বাবলু। বিবৃতিতে সোনারগাঁয়ে এ আটক জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দের মুক্তি এবং হয়রানির বন্ধের দাবি করা হয়েছে।
জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রেরিতে ২১ এপ্রিল বুধবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এক যৌথ বিবৃতিতে সোনারাগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ এবং সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টি সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপনের মুক্তি দাবি করেছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, গেলো ৩ এপ্রিল সোনারগাঁও এর রয়াল রিসোর্টে হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টি বা জাতীয় পার্টির কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয় দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরো অন্তত ৩৫ নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এক যৌথ বিবৃতিতে আরো বলেন, মাহে রমজানের পবিত্র মাস এবং মহামারি করোনাকালে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেনা। প্রতিরাতে পুলিশ জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে। এতে ঐসকল পরিবারে মারাত্মক ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, নিরপরাধ এবং ঐ ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন কোনো ব্যক্তি যেনো অযথা গ্রেপ্তার বা হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতৃদ্বয়।