র‌্যাবের চেকপোস্টে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও ওই ঘটনায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২২ এপ্রিল ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র চেকপোষ্টের মাধ্যমে পরিচালিত মাদক বিরোধী অভিযানে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কার তল্লাশী করে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহনের দায়ে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ আলমগীর ও মোঃ রাশেদ। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ২টি মোবাইল ও নগদ ২ হাজার ৫’শ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, আসামী মোঃ আলমগীর এর বাড়ি লক্ষীপুর জেলার সদর থানাধীন রাধাপুর এলাকায় ও মোঃ রাশেদ এর বাড়ি কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজী বাটপাড়া এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চালক ও যাত্রীর ছদ্মবেশে যাত্রীবাহী প্রাইভেট কারযোগে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ২২ এপ্রিল নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে উক্ত ব্যক্তিদ্বয় কুমিল্লা জেলা হতে বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোষ্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজাসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট কারযোগে যাত্রী পরিহনের আড়ালে চালক ও যাত্রীর সীটের নিচে বিশেষ কৌশলে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে নিয়ে এসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদক ব্যবসা তাদের একমাত্র পেশা। চালক ও যাত্রী হিসেবে পরিচয় তাদের ছদ্মবেশ মাত্র।