বন্দর মদনপুরে র‌্যাব-১১’র চেকপোস্টে ৪৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক হতে ৪৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।  মাদক হেফাজত রাখার দায়ে দুুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।  জব্দ করা হয়েছে মাদক বহনকারী ট্রাকটিও।  ২৫ এপ্রিল রবিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র মাদক বিরোধী অভিযানে ২৫ এপ্রিল রবিবার রাত ১টা ৩০মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে পরিচালিত র‌্যাব-১১ এর চেকপোস্টে পণ্য বোঝাইকৃত কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী একটি হলুদ রংয়ের সন্দিগ্ধ ট্রাকে তল্লাশী করে ৪৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহনের দায়ে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলোঃ মোঃ সোহরাব হোসেন ও মোঃ রাসেল মাহাবুব।  উক্ত অভিযানে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি ট্রাক জব্দ করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, আসামী মোঃ সোহরাব হোসেন কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন চরভাকর এলাকার মোঃ আক্তার হোসেনের ছেলে এবং অপর আসামী মোঃ রাসেল মাহাবুব একই জেলার বুড়িচং থানাধীন জগৎপুর এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে পণ্য পরিবহনের জন্য পণ্যবাহী ট্রাক এর অবাধ চলাচলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকযোগে চালক ও হেলপারের ছদ্মবেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় উল্লিখিত আসামীদ্বয় ২৫ এপ্রিল রবিবার নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য কুমিল্লা জেলা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।  গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে ঢাকাগামী বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশী করতে থাকে।

এক পর্যায়ে রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় ঢাকাগামী ১টি সন্ধিগ্ধ ট্রাক তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি অবস্থায় সর্বমোট ৪৯ কেজি গাঁজাসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারের ছদ্মবেশে পণ্য পরিবহনের আড়ালে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল এবং উক্ত নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।  মাদক ব্যবসা তাদের একমাত্র পেশা।