সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কয়েক মাস চলে লকডাউন। এতে অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ পথচারীরা পড়ে যায় চরম বিপাকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এগিয়ে আসেন এসব অসহায় দুস্থ মানুষগুলোর পাশে। ওই বছরের ধর্মীয় উৎসবগুলোকেও ব্যাপক হারে মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়।
কিন্তু হতাশার বিষয় হলো নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বেশকজন শীর্ষ নেতা রয়েছেন যাদের কেউ কেউ শিল্পপতি, কেউ কেউ ধনকুবের। এদের মধ্যে এক মুুঠো চাল বিতরণ করতেও দেখা যায়নি তাদের। অথচ তারা এমপি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করতে চান বলে প্রতিশ্রুতির ধুয়া তুলেছেন বেশকবার। মাঝখানে করোনা কিছটা শিথিল হলেও বর্তমানে আবারো বেড়েছে করোনা ভাইরাস। চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে সামনে চলে আসছে পবিত্র ঈল উল ফিতর। চলছে রোজার মাস। কিন্ত সরকারি ত্রাণ বিতরণ ছাড়া এসব ধর্নাঢ্য বিএনপি নেতারা এগিয়ে আসছেন না।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য পদে রযেছেন। গত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান। বিএনপির এই শিল্পপতি নেতা মুহাম্মদ শাহআলম করোনাকালে ফতুল্লার কোনো একটি পরিবারের হাতে এক মুুঠো চাল তুলে দিয়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি গত একটি বছরেও।
একইভাবে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়াকেও দেখা যায়নি গত একটি বছরেও অসহায় জনগণের মাঝে। কাজী মনিরকে তো দেখা যায়নি এক মুঠো চাল বিতরণ করতেও। একই দশা দিপু ভুঁইয়ারও। যিনি ধনকুবের হিসেবে পরিচিতি থাকলেও জনগণের পাশে তার ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ তারা দুজনই এমপি হতে চান। কাজী মনির নির্বাচনও করেছেন। দিপু ভুঁইয়া মনোনয়ন চাচ্ছেন। গত নির্বাচনে দিপু ভুঁইয়া প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান। এবার করোনার দ্বিতীয় ধাপেও মানুষের পাশে তারা নাই।
আরেক শিল্পপতি বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। গত বছর করোনার শুরুতে তার পক্ষ থেকে তার নেতাকর্মীরা হ্যাক্সিসল হ্যান্ড স্যানেটােইজার বিতরণ করতে দেখা যায়। দুএকবার খাদ্যসামগ্রীও বিতরণ করেছিলেন সুমন। কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে এনেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। যা সৎসামান্য হলেও এবার করোনার দ্বিতীয় ধাপে মাহমুদুর রহমান সুমন অসহায় মানুষের পাশে নাই। অথচ তিনিও এমপি হতে চান। গত নির্বাচনে তিনিও প্রাথমিক মনোনয়ন পান।