সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর হতে সন্ত্রাসী টাইগার মোমেন তার এক সহযোগী সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় তার কাছ থেকে মাদক, গুলি সহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ৩০ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র্যাব-১১, সিপিএসসি’র অভিযানে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর ওলামানগর এলাকা হতে হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদক সহ প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামী ‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সহযোগীর নাম মোঃ বুলবুল ভুঁইয়া।
উক্ত অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ম্যাগাজিন ভর্তি ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ লিটার বাংলা মদ, মাদক বিক্রয়ের নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগস্থল কাঁচপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা, তেলচুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত শতাধিক দুস্কৃতিকারীদের সমন্বয়ে মোমেনের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে যা এলাকায় ‘মোমেন বাহিনী’ নামে পরিচিত। এলাকার মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এই ‘মোমেন বাহিনী’। এই বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ি হতে জ¦ালানী তেল চুরি, পরিবহনে ছিনতাই ও ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।
‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন নিজেকে কখনও র্যাব আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার অপরাপর সহযোগীদের যোগসাজশে অভিনব কৌশলে মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতি করে। হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামী ধূর্ত অপরাধী মোমেনকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় অনুসন্ধানীমূলক রিপোর্ট হয়।
উক্ত অনুসন্ধানী রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল কাঁচপুর এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেনসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের উপর কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।
পরবর্তীতে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে মাদক ও বিদেশী পিস্তলসহ উল্লিখিত আসামীদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।