সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চলছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এমন পরিস্থিতির মাঝে হয়ে গেল পবিত্র ঈদ উল ফিতর। লকডাউনে যখন খেটে খাওয়া দিনমজুর দুস্থ অসহায় পরিবারগুলো পড়ে যায় চরম বিপাকে। লকডাউনে আসন্ন হয়ে আসে ঈদ। এমন পরিস্থিতিতে এসব অসহায় মানুষগুলোর পাশে সরকারিভাবে ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি প্র্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের নেতারা এগিয়ে আসে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের পৌরসভাধীন ৯টি ওয়ার্ডের অসহায় মানুষগুলোর পাশে পৌরসভার আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি ৬জন মেয়র প্রার্থীর ভুমিকা বিরাট প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে।
যদিও দুজনকে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেলেও হেভিওয়েট বেশকজন প্রার্থীর ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পৌরসভার সচেতন নাগরিক সমাজ। কেউ কেউ বলছেন, পৌরসভার নির্বাচন কবে হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা সেই শঙ্কায় এসব মেয়র প্রার্থীরা জনগণের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। করোনাকালে এসব মেয়র প্রার্থীদের ভুমিকা নিয়ে ফেসবুকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। কাউসারুল মামুন রাজু নামে একজন ফেসবুকে পোস্ট করে মেয়র প্রার্থীদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বছরের শেষের দিকে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন আওয়ামীলীগের ৬ জন। যাদের নাম স্থানীয় আওয়ামীলীগ চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে। ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- গাজী মজিবুর রহমান, ছগীর আহাম্মেদ, অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, নাসরিন সুলতানা ঝরা, মোহাম্মদ হোসাইন ও কমান্ডার ওসমান গনি।
এদের মধ্যে গত করোনা ভাইরাসের শুরুতে প্র্রতিটি ওয়ার্ডের জনগণের খাদ্যসামগ্রী নিয়মিত বিতরণ করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ধাপে ছগীর আহাম্মেদকে সেভাবে দেখা যায়নি। এদিকে এবার ঈদের একদিন আগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা গেছে ফজলে রাব্বীকে। এ ছাড়াও একটি সংগঠনের উদ্যোগেও তাকে ঈদ সামগ্রী দিতে দেখা গেল। রোজার মাঝে ঈফতার বিতরণ করতে দেখা গিয়েছিল মোহাম্মদ হোসাইনকে। বাকিদের প্রচারে দেখা না গেলেও ৬ জন প্রার্থীদের অনুগামী নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে গরীব অসহায় মানুষের পাঁশে দাঁড়িয়েছেন। তবে সে রকম আনুষ্ঠানিকতা কিংবা প্রচারণা ছিল না।