সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ঈদের দিন যারা রাজপথে, ঈদ আনন্দ তাদের সাথে- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জের নানা শ্রমজীবী ও ভাসমান অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের আইসিটি ও মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এখন বেশ প্রসংশনীয়।
এর আগে রাজধানী ঢাকাতে এ আয়োজন করা হলেও এবার নারায়ণগঞ্জের রাজপথে থাকা জনসাধারণের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন পুলিশ সদস্যরা। এমন মহৎ কাজে সারাদিন পাশে থেকে বিত্তশালীদেরকেও দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেনে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রকিবুজ্জামান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত ভালো একটি কাজ। এমন কাজে পাশে থাকতে পেরে আমি নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। কারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যে অন্যরকম একটি প্রশান্তি মিলে। আমরা না হয় নতুন জামা পড়ে ঈদ করতে পারছি। তবে তারা জীবিকার তাগিদে বের হয়েছে। তাদরেকে যদি চলার পথে ঈদ উপলক্ষে একটু কুশল বিনিময় করি কিংবা একটু তৃষ্ণা মিটাতে পাশে থাকি, এতে করে তারাও অনেক খুশি হয়। আমি সকল বিত্তশালীদেরকে অনুরোধ করবো ঈদের দিনটিতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে বা নতুন আইডিয়া নিয়ে অবহেলিতদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগিভাগি করে নিলে এর উত্তম প্রতিদান পাবেন।
এদিকে দিনটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে এ কর্মসূচি শেষ করে ১৪ মে শুক্রবার বিকেল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া সহ বিভিন্ন স্থানের রাজপথে থাকা রিকশা চালক, সিএনজি রিক্সা চালক, বাস চালক, পুলিশ, সিকিউরিটি গার্ড, ভিক্ষুক সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে ঠান্ডা কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস, কেক সহ নানা ধরণের জলখাবার বিতরণের মধ্যে দিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন তারা।
অন্যদিকে দীর্ঘ বছর ধরে রাজপথে অবহেলিতদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার উদ্যোগ ও অনুভূতির বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আইসিটি ও মিডিয়া বিভাগটিতে দায়িত্বে থাকা মানবিক পুলিশ হাফিজুর রহমান বলেন, সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে শুরু করেন রাজধানী ঢাকায় কর্তবত্য রাজপথে দায়িত্ব থাকা কর্মজীবিদের মাঝে খাবার বিতরণ কার্যক্রম। যার শ্নোগান হয়- ঈদের দিন যারা রাজপথে, ঈদ আনন্দ তাদের সাথে। প্রথমে এককভাবে ছোট পরিসরে করলেও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কিংবা সংবাদ মাধ্যম ও টেলিভিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ বা প্রচার হলে তা পরবর্তীতে সারা পড়ে যায়। এরপর বিপি হেল্প লাইন নামে মানব প্রেমি শুভাকাংখী হয়ে অংশগ্রহন করলে বাড়তে থাকে এ কর্মসূচীর ব্যাপকতা।
জানা যায়, হাফিজুর রহমান বঞ্চিতদের সাথে নিয়ে এমন ব্যাতিক্রম আয়োজন নিজের বেতন বোনাসের টাকা দিয়ে প্রথমে শুরু করেন। আর এভাবেই দীর্ঘ ৫টি বছর অতিবাহিত হল। এরই ধারাবাহিকতায় এখন এটা পুলিশ বিভাগেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। বিপি হেল্প লাইন সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ এ ব্যাপারে সার্বিক পরামর্শে পাশে থাকেন বলেও প্রতিবেদককে জানিয়েছেন মানবিক পুলিশ হাফিজ।