সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এখনও সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ভিতর থেকে বাবু ওমরের তান্ডবলীলা মুছে যায়নি। যে বাবু ওমর সোনারগাঁয়ের কাচপুরে যুবলীগ কার্যালয় ভাংচুর ও গুলিবর্ষণ করেছিলেন সেই বাবুল ওমর বাবুই এখন সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তার নাম শুনলেই এখন স্থানীয় ভোটারদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, মুলত কাচপুুর একটি শিল্প এলাকা। এই ইউনিয়নের সকল সেক্টর নিজেদের দখলে নিতেই এবার আরেক ভাই বাবু ওমর বাবু ভাইস চেয়ারম্যান হতে চাচ্ছেন। আরেক ভাই মোশারফ ওমরের নাম শুনলেও কাচপুরের মানুষের বুক কেপে ওঠে বলেও স্থানীয়রা জানান।
জানাগেছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থক বাবু ওমরের নেতৃৃেত্ব স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থকদের উপর এ হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করেছিল বলেও ওই সময় অভিযোগ ওঠে। এসময় কায়সার সমর্থকদের ১০টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়। বাবু ওমর বাহিনীর হামলায় কায়সার সমর্থকদের ১৫জনে পিটিয়ে আহতও করেছিল।
ঘামলার শিকার আহতরা অভিযোগ করেছিলেন- কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ভাই বাবু ওমরের নেতৃত্বে রাশেদ, শহীদ, শাহ আলম মেম্বার, মাহবুব, আমজাদ, কালাম, নুরে আলম ভূইয়াসহ ৫০/৬০ জনের একটি দল লাঠিসোটা, হকিস্টিক, আগ্নেআস্ত্র নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর পারভেজের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাবু ওমর তার হাতে থাকা আগ্নেআস্ত্র দিয়ে ৫টি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তার পর থেকে কাচপুরে বাবু ওমরের নাম শুনলেই মানুষ আতংকে ওঠেন। কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ আহত হয়েছিল যুবলীগ নেতা এনামুল, আশরাফুল, রবি, জনি, মাহবুব, আরিফুল, খোকন, মাসুমসহ ১৫ জন আহত হন।
ওই হামলার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার অভিযোগ করে বলেছিলেন, আমার জনপ্রিয়তা সোনারগাঁয়ে সকল প্রার্থী থেকে এগিয়ে রয়েছে। আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষের ঢল নামে। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের উপর হামলা করছে।
এদিকে জানাগেছে, গত ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করেন। ওইদিন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু নাইম ইকবাল, শাহআলম রূপন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাবুল হোসেন বাবুর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।