সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর পৃথক অভিযানে রাজধানীর ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ হতে পার্কিং করা গাড়ী হতে জ্বালানী তেল চোর সিন্ডিকেটের ৯ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় ১ হাজার ২৩০ লিটার ডিজেল ও ৩টি পিকআপ জব্দ করা হয়। ২ জুন বুধবার এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল কর্তৃক ২ জুন রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা জেলার ডেমরা থানাধীন চনপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জ্বালানী তেল চোরাই সিন্ডিকেটের আব্দুল্লাহ, রাজু, মহিন, মানিক, জনি ও জনি নামের ৬জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের দখল হতে ২টি ড্রামভর্তি ৫০০ লিটার চোরাই ডিজেল, ৪টি খালি ড্রাম, জ্বালানী তেল চুরির কাজে ব্যবহৃত বিশেষভাবে মোটর সংযুক্ত করা ৩টি পিকআপ ভ্যান ও চোরাই জ্বালানী তেল ক্রয়-বিক্রয়ের নগদ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, পৃথক অপর একটি অভিযানে ২ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন সাওঘাট এলাকা হতে জ্বালানী তেল চোরাই সিন্ডিকেটের আরও ৩জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ জামশেদ আলী ও মোঃ মাসুম ভুঁইয়া ওরফে বাচ্চু।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৭৩০ লিটার চোরাই ডিজেল, চোরাই তেল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ০১টি নসিমন গাড়ী ও চোরাই জ্বালানী তেল ক্রয়-বিক্রয়ের নগদ ২ হাজার ৩৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ডেমরা থানাধীন চনপাড়া ও রূপগঞ্জ থানাধীন সাওঘাট এলাকায় জ্বালানী তেল চুরি ও কেনাবেচার একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। মহাসড়কে চলাচলরত গাড়ীসমূহ রাস্তার পাশে পার্কিং করে গাড়ীর ড্রাইভার ও হেলপার ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এই চোরাই সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যরা বিশেষ কায়দায় মোটর ফিটিং করা পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করে অভিনব কৌশলে উক্ত গাড়ীসমূহ হতে তেল চুরি করে।
গাড়ীর ড্রাইভার ও হেলপার তেল চুরির বিষয়টি টের পেয়ে গেলে উক্ত সিন্ডিকিটের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে এবং জোরপূর্বকভাবে তেল চুরির পাশাপাশি ড্রাইভার ও হেলপার এর নিকট হতে টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। উক্ত চোরাই সিন্ডিকেট আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এই তেলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র তেল ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে, যা ব্যবহার করে গাড়ীর ইঞ্জিন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, পরষ্পর যোগসাজশে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কৌশলে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গাড়ী হতে জ্বালানী তেল চুরি করে মজুদ করে এবং অবৈধভাবে কেনাবেচা করে। এই সকল জ্বালানী তেল চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।