সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চাঞ্চল্যকর আর্ন্তজাতিক নারী পাচারকারী রিফাদুল ইসলাম হৃদয় গ্রুপের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ৫ জুন শনিবার এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার সম্রাট তালুকদার।
তিনি জানান, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব শুরু থেকে যে কোনো ধরণের অপহরণ ও জিম্মি প্রতিরোধ এবং অপহরণ চক্রকে সনাক্ত, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারী ও মানব পাচারকারীদের গ্রেপ্তারে সার্বক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
তিনি আরও জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর অভিযানে ৪ জুন শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা হতে আর্ন্তজাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য মোঃ রুবেল সরকার ওরফে রাহুল ও মোছাম্মদ সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ আর্ন্তজাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী সুন্দরী তরুণীদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে পাচার করে।
উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাচারকৃত নারীদের হোটেলে নিয়ে গৃহবন্দি করে রাখত। বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে এই সকল তরুণীদেরকে কোন অবস্থাতেই নিজের ইচ্ছায় হোটেল তথা বাইরে যেতে দেওয়া হত না। প্রাথমিক অবস্থায় তরুণীরা এসকল আসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে রাজি না হলে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য জোরপূর্বক প্রয়োগ করা হত।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ রুবেল সরকার ওরফে রাহুল ও তার স্ত্রী মোছাম্মদ সোনিয়ার সাথে রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এই মানব পাচারকারী চক্রের উপর দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাব-১১ বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে ৪ জুন শুক্রবার অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মানব পাচারকারী চক্রের ২জনকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখিত ২জন ডিএমপি ঢাকা জেলার হাতিরঝিল থানার মামলা নং৩। ২০১২সালের মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ০৭/০৮/১০/১১ এর এজাহারভুক্ত আসামী। এই সমস্ত মানব পাচারকারী চক্রের মূলোৎপাটন করার লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।