সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়নের ভাঙ্গাক্লাব এলাকার স্বর্গীয় মধু ঘোষের ছেলে কার্তিক ঘোষকে কারাগারে পাটিয়েছেন আদালত। স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক মামলায় আদালতে তার ২ বছরের সাজা হলে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে, ৭ জুন সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন এর আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত আসামি কার্তিক ঘোষকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি একই আদালত ১৯৮০ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় কার্তিক ঘোষকে দুই বছরের কারাদন্ড দেন। আদালত রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি কার্তিক ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় ফতুল্লার বিসিক এলাকার সম্পা ঘোষের। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সম্পাকে নির্যাতন শুরু করে কার্তিক ঘোষ। দীর্ঘদিন সম্পা তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। কোনো খোঁজখবর ও ভরণপোষণ দেয়নি। এ বিষয়ে ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর সম্পার ভাই ফতুল্লা থানায় জিডি করেন। এর আগেও ২০০৭ সালে যৌতুক চাওয়ায় বাদীর ভাই মিন্টু লাল ঘোষ জিডি করেন। এর জের ধরে ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আসামি কার্তিক সম্পার বাড়িতে আসে। ওইদিন ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে সম্পা ঘোষ বাদী হয়ে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কার্তিক ঘোষকে প্রধান আসামি ও কালাচাঁন নামে আরেকজনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর কার্তিক ঘোষকে অভিযুক্ত করে কালাচাঁনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।