সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি নেই প্রায় ৪ মাস পেরিয়ে গেল। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিল ঘোষণা করার পর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মহানগরীর তিনটি থানার শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবদলের ওই কর্মীসভায় উপস্থিত থেকে রীতিমত চমক সৃষ্টি করেছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল। একই সঙ্গে অতীতে যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও সামনের সারিতেই বসেছিলেন মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।
বেশকজন শীর্ষ নেতার মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্ধি হয়ে ওঠেছেন এই দুই নেতা। যার মধ্যে মনিরুল ইসলাম সজল মহানগর যুবদলের শীর্ষ পদে অধিষ্ট হওয়ার স্বপ্নে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এদের ছাড়াও মহানগর ছাত্রদলের বেশকজন শীর্ষ নেতা কেন্দ্রীয় যুবদলের ওই কর্মীসভায় উপস্থিত থাকলেও মহানগর যুবদলের শীর্ষ দুটি পদে তাদেরকে নিয়ে ভাবছেনা কেন্দ্রীয় যুবদল।
স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা শীর্ষ দুটি পদে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখছেন ৬জন নেতাকে। যাদের মধ্যে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ ও মনিরুল ইসলাম সজল ছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক সহ-সভাপতি রানা মুজিব ও সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান।
নেতাকর্মীরা বলছেন- মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক পদে সবচেয়ে এগিয়ে থাকছেন মমতাজ উদ্দীন মন্তু। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছাড়াও স্থানীয় রাজনীতিতেও বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্ধি মন্তু। তবে মন্তুকে আহ্বায়ক পদে রাখা হলে এক্ষেত্রে কপাল পুড়তে পারে সাগর প্রধানের। কারন একই থানা থেকে শীর্ষ দুটি পদে না রাখার সম্ভাবনাই বেশি। মুলত নগর কেন্দ্রীক রাজনীতির কারনে নগরী থেকেই নেতৃত্বে একজনকে রাখার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে নগরী থেকে অনেকটা একজোট হয়েই নেতৃত্ব ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মনোয়ার হোসেন শোখন ও রানা মুজিব। এ বলয় থেকে মুলত জোসেফকেই সামনে রাখা হচ্ছে। যদিও অতীতে যুবদলের রাজপথের রাজনীতিতে ছিলেন না জোসেফ। এ নিয়ে একটি বলয়ের আপত্তিও রয়েছে। তবে নেতৃত্বের লড়াইয়ে তিনজনই বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্ধি। নগরী থেকে কাউকে আহ্বায়ক পদে রাখা হলে সদস্য সচিব পদে সম্ভাবনা বাড়তে পারে সাগর প্রধানের এবং মন্তুকে আহ্বায়ক পদে রাখা হলে নগরী থেকে রাখা হতে পারে সদস্য সচিব।
তবে এসব আলোচনা ছাড়িয়ে গেছে মনিরুল ইসলাম সজল। যিনি মহানগর যুবদলের পদের আশায় পদত্যাগ করেছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ অনুগামী সজল মুলত বিএনপির এই নেতার লবিংয়েই মুলত শক্ত প্রতিদ্বন্ধি। অতীতে মহানগর ছাত্রদলের ও মহানগর বিএনপির পদে থেকে বেশির ভাগ সময় মনিরুল ইসলাম সজল রাজনীতিতে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন আড়াইহাজারে গিয়ে। মনিরুল ইসলাম সজল মহানগর যুবদলের নেতৃত্বে আসলে হয়তো আড়াইহাজার এলাকায় মহানগর যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করার মত নজির সৃষ্টির হতে পারে। সজলকে নেতৃত্বে রাখা হলে কমিটি হবে উলট পালট। এমনটাই দাবি করেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।