সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সভাপতি ও মমতাজ উদ্দীন মন্তুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে সর্বাত্মক ভুমিকা প্রভাব দেখান সভাপতি খোরশেদ ও সেক্রেটারি মন্তু। এ নিয়ে বাকিদের মাঝে তুমুল ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। যার বিরোধীতা করে পাল্টাপাল্টি সভা সমাবেশও করা হয়।
কারন ওই কমিটিতে ২৫জনকে সহ-সভাপতি ও ১৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়। যেখানে নেতাও সহ-সভাপতি আবার এই সহ-সভাপতির কর্মীর পর্যায়ের কর্মীকেও করা হয় সহ-সভাপতি। একইভাবে নেতাও যেখানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তার কর্মীর পর্যায়ের কর্মীকেও করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। যেখানে সিনিয়র সহ-সভাপতির সঙ্গে ২৫ নম্বর সহ-সভাপতির রাজনৈতিক প্রভাব দাপট গ্রহণযোগ্যতা আকাশ পাতাল তফাৎ। দুটি পদের মুল্যায়ণ কমিয়ে নেয়া হয় এভাবে। এর জের ধরে যুবদলে বিরোধও সৃষ্টি হয়।
এদিকে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। যার লক্ষ্যে ১২ জুন কেন্দ্রীয় যুবদল নারায়ণগঞ্জের নেতাদের নিয়ে কর্মীসভা করেছেন।
কমিটি গঠন নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন সেখানে ওই ২৫ জন সহ-সভাপতি এবং ১৮ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দু’চারজন বাদে বাকিরা কেউই শীর্ষ পদে আসার আলোচনাতেই নাই। ওই ২৫ এবং ১৮ যেখানে ৪৩ জনের মধ্যে কমিটির শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে আলোচনায় ওই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি রানা মুজিব, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু সহ আর মাত্র দুএকজন নামকাওয়াস্তে। যে কারনে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন- ওই ৪৩ জনের মধ্যে অধিকাংশরাই নখদন্তহীন নেতা। যাদের মধ্যে অনেকের গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও শীর্ষ পদে বসানো হয়েছে। আবার কেউ কেউ রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় তাদেরকেও বসানো হয়।
জানাগেছে, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সভাপতি, মনতাজ উদ্দিন মন্তুকে সাধারণ সম্পাদক, মনোয়ার হোসেন শোখনকে সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাগর প্রধানকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রশিদুর রহমান রশুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে বহাল রেখে (২৫ জন সহ-সভাপতি) যেখানে সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, রানা মজিব, আনোয়ার হোসেন আনু, আকতার হোসেন খোকন শাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, মনিরুল ইসলাম মনু, আমির হোসেন, মীর বিল্লাল হোসেন, ইছালউদ্দিন ইশা, রিটন দে, সরকার মুজিব, ইউনুছ খান বিপ্লব, নাজমুল কবীর নাহিদ, নাজমুল হক রানা, আহম্মদ আলী, জানে আলম দুলাল, আকতার হোসেন সবুজ, ফয়েজ আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশীদ লিটন ও শেখ মোঃ সেলিম।
সাধারণ সম্পাদক মন্তাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন খান, শেখ রুহুল আমিন রাহুল, মাহাবুব হাসান জুলহাস, মনিরুজ্জামান পিন্ট, ফিরোজ আহম্মদ, নুর এলাহী সোহাগ, কাজী সোহাগ, এম এ এম সাগর, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোঃ অপু ও আক্তার হোসেন অপু।
এদের ছাড়াও সহ-সাধারন সম্পাদক পদে ছিলেণ- সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, শহীদুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রধান, জাকির হোসেন সেন্টু, সাইদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন রিপন ও ফয়সাল মাহমুদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, নুর এজাজ আহম্মেদ, কাওসার আহম্মেদ ও সাহেব উল্লাহ রোমান।