সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন নারায়ণগঞ্জের করোনাকালে বহুল আলোচিত কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। ১৭ জুন বৃহস্পতিবার তিনি ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
সাধারণ ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ্য করেন, গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা হতে পৌনে ৪টা পর্যন্ত বাদীর নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরের ৪২নং শেরেবাংলা সড়কস্থ বাসায় কে বা কারা রাতের অন্ধকারে প্রবেশ করে দ্বিতীয় তলার কলিংবেল চাপতে থাকে। বাসার অভ্যন্তর হতে বাদী এবং তার পুত্র-কন্যা পরিচয় জানতে চাইলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। ফলে তিনি সহ তার পরিবারের অপর সদস্যরা তাদের বাসার ৩য় তলা হতে ২য় তলায় চলে আসে।
তারপরেও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুণরায় ৩য় তলার দরজায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। তারা তখন ডাক চিৎকার করে পরিচয় জানতে চাইলেও কোন প্রকার প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে রাত পৌনে ৪টার দিকে বাদীর কন্যা নাবিলা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানালে তৎক্ষনাৎ ফতুল্লা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং পুরো বাড়ি তল্লাশী করে কিন্তু কাউকে পায়নি পুলিশ।
এছাড়া তিনি উল্লেখ্য করেন গত ৩-৪ দিন যাবৎ তাদের বাসার আশে পাশে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে তার ধারণা হচ্ছে অজ্ঞাত কোন ঘাতক বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ডিঙিয়ে বাসার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তাছাড়া অজ্ঞানামা এক ব্যক্তি ০১৭০৯-৫৪৭৮২৪ নম্বর হতে তার স্বামী কাউন্সিলর খোরশেদের ওয়ার্ড সচিব আলী সাবাব টিপুর ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৯১৪-২৯৫৬১২-এ ফোন করে তাকে এবং তার সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। ফলে তিনি আশংকা করছেন ফোনে হুমকিদাতা চক্রের কোন ব্যক্তি রাতের আধারে বাদী এবং বাদীর সন্তানদের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশদের স্ত্রীর দায়ের করা সাধারণ ডায়েরীর করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, আফরোজা খন্দকার লুনা সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদােলতের অনুমুতিক্রমে সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।