সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এখনই রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে নেই বলে খোদ জানিয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় মুখ একেএম অয়ন ওসমান। তিনি মনে করেন কল্যাণকর কাজ করতে রাজনীতি না করেও করা যায়। তিনি একই সঙ্গে বলেছেন, নিজের বাবা ও চাচার নির্বাচনী আসন নিয়ে চিন্তা বা স্বপ্ন দেখার মত ক্ষমতা লোভীও তিনি নন।
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের পুত্র একেএম অয়ন ওসমান। অয়ন ওসমানের চাচা একেএম সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে বর্তমান এমপি। এ আসনে তার প্রয়াত চাচা নাসিম ওসমান চারবার এমপি ছিলেন।
১৯ জুন শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জবাসীকে জানান। জানাগেল এর আগে স্থানীয় মিডিয়াতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, যেখানে দাবি করা হয় অয়ন ওসমান প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। মুলত এই খবরটি প্রকাশের পরেই অয়ন ওসমান ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি পরিস্কার করেন যে, তিনি আপাতত রাজনীতি কিংবা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
একেএম অয়ন ওসমান শনিবার রাতে তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই মূহুর্তে আমার রাজনীতি করার কোন ইচ্ছে নেই। কারন বয়স বাড়ার সাথে সাথে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছি আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছ থেকে যতোটুকু ভালোবাসা পেয়েছি বা প্রিয় হয়েছি সবটুকুই আমার বাবার সম্মানের জন্য এবং উনার ছায়ায় গড়ে উঠার সৌভাগ্য হয়েছে বলে।
আমি আগেও মনে করতাম এখনও মনে করি মানুষের সেবা বা জনকল্যাণের জন্য কাজ করতে হলে রাজনীতি করতে হয় না, মানুষের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কল্যাণকর কিছু করা সম্ভব। বাবা হচ্ছে আমার প্রিন্সিপ্যাল আর মা আমার শিক্ষক, মা-বাবার দেওয়া শিক্ষা আমার জীবনের পথচলার অনুপ্রেরনা।
আমার বাবা এবং চাচাকে অতিক্রম করে নির্বাচন তো দূরের কথা, আমার বাবার অনুমিত ছাড়া উনার গাড়ীতে উঠার সাহসও আমার নেই এবং নিজের বাবা ও চাচার নির্বাচনী আসন নিয়ে চিন্তা বা স্বপ্ন দেখার মতো এতোটা ক্ষমতা লোভী আমি না এবং আমার মা এর কাছ থেকে ঐ শিক্ষা আমি পাইনি।
আমি দোয়া করি এবং সবার কাছে দোয়ার করার অনুরোধ রইলো মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যেন আমার বাবা এবং চাচাকে নেক হায়াৎ দান করেন।
আমীন।’
এদিকে নিজের পোস্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে একেএম অয়ন ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ সমাজের যেকোনো ভালো কাজ করতে রাজনীতি বা কর্মী লাগে না। আর নারায়ণগঞ্জে আমার কোন কর্মী নেই। যারাই আছেন, সবাই আমার ভাই-বন্ধু, শুভাকাঙ্খী। তাদের অনেকে মানবিক ও সামাজিক কাজে আমায় সহযোগিতা করে, আমি তাদের সহযোগিতা করি। আর ছাত্রলীগ কিংবা অন্য যে কোনো রাজনৈতিক নেতাকর্মী তারা তাদের দলীয় শীর্ষ নেতাদের পরামর্শে চলে। ওই জায়গাটিতে আমি কখনই নাক গলাই না বা যাইও না। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বয়সের মানুষের যে ভালোবাসা পাই, তাতে কিন্তু রাজনীতি লাগে না।’