সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় ৫৭ ড্রাম চোরাই তেল উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুুলিশ। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় চোরাই তেল সিন্ডিকেটের সদস্য ইকবাল হোসেন, রুবেল, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেন, রাসেল, ইব্রাহীম সহ ১৫/১৬ জনকে আসামী করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল মাতুব্বর তার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের এবং ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তায় ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে সংবাদ পায় যে, ফতুল্লার বালু ঘাট (লঞ্চ ঘাট) এলাকার তেল সিন্ডিকেট চক্রের সরদার ইকবাল হোসেন তার তেলের দুইটি গোডাউনের মধ্যে চোরাই জ্বালানি তেল রাখিয়া ক্রয়-বিক্রয় করিতেছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আব্দুল জলিল মাতুব্বর তার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের এবং ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত স্থানের তেল চোর সিন্ডিকেট চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে ৫৭টি ড্রামের মধ্যে রক্ষিত জ্বালানি তেল পরিমান সাত হাজার ছয়শত লিটার ডিজেল, তিন হাজার ষাট লিটার অকটেন, তিনশত ষাট লিটার পেট্রোল উদ্ধার করে বিধি মোতাবেক জব্দ করিয়া ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-৩৯,তারিখ-১২/০৩/২০১৯ ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ খ(১) এবং সিন্ডিকেটের সদস্য ইকবাল হোসেন সহ রুবেল, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেন রাসেল, ইব্রাহীম সহ ১৫/১৬ জনের বিরুদ্দে মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশ সরকারকে শুল্ক/কর ফাঁকি দিয়ে এবং জাহাজ থেকে চুরি করিয়া পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল অবৈধভাবে মজুদ রাখিয়া প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় করিয়া আসিতেছিল। জানাযায় যে, উক্ত সিন্ডিকেটদের পিছনে অনেক স্বার্থন্বেষী মহল যুক্ত আছে ও নিয়মিত মাসোহারা পায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদানের পর হতে ভূমিদস্যূ, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করিয়া সর্ব মহলে প্রসংশিত হয়েছেন। ইহা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জবাসীর সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য শহরে হকার মুক্ত ফুটপাত ও যানজট মুক্ত শহর উপহার দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জবাসীর মনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরে অনেক কথিত একাধিক জুয়ার আসরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযান চালানো হয় ও জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করিয়া আদালতে সোপর্দ করেন। যা সর্ব মহলে প্রসংশিত হয়েছেন। ইদানিং অবৈধ তেল চোরা কারবারীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশের এই অভিযানকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য ঘোষিত তেল চোরাকারবারীদের অন্যতম সদস্য পলাতক আসামী ইকবাল হোসেন তার গডফাদারদের ও স্বার্থন্বেষী মহলকে বাঁচানোর জন্য এবং পুলিশের এই অভিযানকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য, পুলিশের মনোবলকে ভাঙ্গার জন্য কতিপয় পুলিশ অফিসারের নামে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য, উপাত্ত বিহীন মন গড়া একটি পিটিশন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন। উক্ত পিটিশনটি প্রাথমিক তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তথা ভুমিদস্যূ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ, জুট সন্ত্রাসী সহ মাদক ও তেল চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। যাহা আরো বেগবান করা হয়েছে।