সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বন্দরে কল্যান্দি এলাকায় মুন্নী শেখ নামে এক সন্তানের জননী’র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জুম্মানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৮ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় পশ্চিম কল্যান্দি এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন ভোর ৪টায় থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী বাঁশঝাড়তলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে মুন্নীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত মুন্নীর বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ২৮ জুন সোমবার রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জুম্মানকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সেকেন্ড অফিসার মোদাচ্ছের হোসেনের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জুম্মানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত মুন্নীর বাবা মনির শেখ জানান, বিগত ১০ বছর আগে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা এলাকার জানে আলমের ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৮বছর পর স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে কলহ দেখা দিলে এ ঘটনায় মুন্নী শেখ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলার পর পরই গৃহবধূ মুন্নী শেখকে ফুসলিয়ে কল্যান্দী গ্রামের আনোয়ার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া নিয়ে দেয় পশ্চিম কল্যান্দী গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে জুম্মান ওরফে পিস্তল জুম্মান।
পরে জুম্মান মুন্নীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিকভাবে নির্যাতন করতো। আত্মহত্যা কয়েকঘন্টা আগে আমাদের বাসায় ফোন করে বলছি আসবে কিন্তু জুম্মান বাড়িতে যাওয়ার পরে আবারও ফোন করে বলে সকালে বাসায় আসবো। কিন্তু সকালে খবর পাই মুন্নী আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার মোদাচ্ছের হোসেন জানান, গত ২১ জুন কল্যান্দি এলাকায় এক সন্তানের জননী মুন্নী শেখ নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত মুন্নীর বাবা আত্নহত্যার প্ররোচনা অভিযোগে জুম্মানের নামে থানায় মামলা দায়ের করে। তখন তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে জুম্মানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করি এবং মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে জুম্মানকে প্রেরণ করা হয়।