সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির রাজনীতি যতই সামনের দিকে যাচ্ছে ততই নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা আর নিরাশা বাড়ছে। ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দিনকে দিন নেতাকর্মীদের মাঝে কমে আসছে। এরি মাঝে দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ১/১১ এর সংস্কারবাদী এবং তার পরবর্তীতে বিএনপি ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত ছিলেন তাদের প্রেত্মাতাদের নিয়েও নেতাকর্মীরা ভীত। কেউ কেউ মনে করছেন বিএনপির দুরাবস্থা দেখে এসব নেতারা আবারো দল ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষমতার স্বাদের আশায় অতীতে যেমন বিএনপি ছেড়ে গিয়েছিল আবার কেউ কেউ ছাড়ার চেষ্টা করেছিল তারা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরি মেরে অন্য দলে গিয়ে ক্ষমতায় বসার।
বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গঠিত বিএনএফ নিয়েও নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা আতংকিত। কারন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন এমন কিছু নেতা যাদের নাম জেলা ও মহানগর বিএনএফ এর কমিটিতে এসেছিল। যারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীককে ডুবিয়ে বিএনএফের গমের শীষ প্রতীককে জাগ্রত করার চেষ্টা করেছিলেন, বর্তমানে ওইসব ব্যক্তিদের অনেকেই জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে পাকাপোক্ত হয়েছেন।
মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিএনএফে নামা আসা দু’একজনের নামও রয়েছে। জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে নিতে এবং থানা/উপজেলা কমিটিগুলোতে সংস্কারপন্থী ও বিএনএফ সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা করছেন। যে কারনে সান নারায়ণগঞ্জের কাছে নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জের বিএনপির ধানের শীষের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে বিএনএফের গমের শীষ।
এরি মাঝে নতুন করে নারায়ণগঞ্জে আলোচনায় বিদিশা ফাউন্ডেশন। জাতীয়পার্টির প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা গঠিত বিদিশা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বেশকজন বিএনপি নেতা। তবে ইতিপূর্বে বিদিশা এরশাদ মিডিয়াতে বলেছেন তিনি নতুন দল গঠন করবেন। বিএনপির অনেক নেতারাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বিএনপি ভেঙ্গে তারা বিদিশার সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
কয়েক বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জে বিএনএফ এর জেলা ও মহানগর কমিটিতে বেশকজনের নাম আসে যারা বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। মুলত বিএনএফের নিবন্ধন নেয়ার জন্য জেলা ও মহানগর কমিটি দেখানো হয়েছিল। এমনকি নারায়ণগঞ্জে বিএনএফের কার্যালয়ও দেখানো হয়। যা মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়ে গেলে বিএনপির বেশকজন নেতা সাংবাদিক সম্মেলন করে বিএনএফে জড়িত নয় বলে দাবি করেছিলেন। আরো অনেকের নাম এসেছিল যারা সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেননি। বর্তমানে বিএনএফে নাম আসা ওইসব নেতাদের অনেকেই জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি রয়েছেন। তাদের কেউ কেউ নিজেকে বিএনপির ত্যাগী নেতাও দাবি করছেন।