সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর খেয়াঘাটে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য ও অরাজকতা। চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সদর বন্দরের মানুষ। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে তারা বলছেন ‘এমপি সাহেব না আমাগো লইগা ফ্রি ট্রলার দিছে-বেশি টাকা দিতে নিষেধ করছে। এহন দেহি করোনার মধ্যেও আমাগো থেকে ১০টাকা করে নিতাছে? যাক আল্লাহ তুমরা খুশি থাহো। এমনভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বন্দর খেয়াঘাটে অতিরিক্ত টোল দেয়াকালে মাছ বিক্রেতা ইয়াকুব মিয়া বলেন।
এর কিছু সময় পর মাছ বিক্রেতা জোহরা বানু একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেলিম ওসমান এমপি আমাগো বেশি ভাড়া দিতে না করছে। কিন্তু এই লকডাউন শুরু পর থেকে বন্দর খেয়াঘাটে আমার কাছ থেকে বেশি টাকা নিতাছে, প্রতিবাদ করায় ধমক খেতে হয়েছে।
বন্দর খেয়াঘাট ও লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া নিয়ে ইতিমধ্যে বন্দরবাসীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে লকডাউন হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি থাকা কেউ বেশি টোল আদায়ে প্রতিবাদে করতে পারছে না। সেই জন্য এমপি সেলিম ওসমানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।
জানা যায়, বন্দর খেয়াঘাটে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান শহর-বন্দরবাসী সুন্দর পরিবেশে চলাচলের জন্য তার অধিনে লোকজন দিয়ে ঘাট পরিচালনা করা হয়। তিনি সংবাদ মাধ্যম ও বিভিণ্ন সভা সমাবেশে বন্দর ঘাট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া যাবে না বক্তব্যে রেখেছেন। এমন বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমানের প্রতি বন্দরবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কিন্তু ১ জুলাই থেকে বন্দর ঘাট দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের ইজারাদারের লোকজন অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় বন্দরবাসীর মাঝে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
তারা জানায়, নৌকায় মালামালের জমা তুলছে বিল্লাল, চম্পা ও মফিজুল ইসলাম। এই টাকা জমা হচ্ছে লঞ্চ টার্মিনাল ইজারাদার জুয়েলের কাছে। এমপি সেলিম ওসমান বটতলা ঘাট ও বন্দর খেয়া ঘাট দিয়ে মালামাল এর জমা মওকুফ করে দিয়েছেন বন্দরবাসীর জন্য।
অপরদিকে বন্দর খেয়াঘাটে ট্রলার ও নৌকায় দিয়ে মালামাল নিয়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা ইয়াকুব ও জোহরা জানান, নিজের মাথা করে মাছ বিক্রি করে হাড়ি নিয়ে বন্দরে যায় আজ দীর্ঘ বছর ধরে। এখন লক ডাউনের শুরুতে ১০ টাকা করে নিচ্ছে। যাহা এমপি সেলিম ওসমানো ভয় দেখ্যাইয়া। এমপি সাহেব আমাগো টাকা দিয়ে কি করবো?
এদিকে, বন্দর খেয়াঘাটের নতুন করে নৌকা জমা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে নৌকার মাঝিদের সাথে আলাপ আলোচনা করছে বলে শুনা গেছে।
বন্দর খেয়াঘাটের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাবেক কর্মকর্তা দিদার খন্দকার এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বন্দর খেয়াঘাট এমপি সেলিম ওসমান মহোদয়ের নিদের্শ পরিচালনা করেছিলাম। ৩০ জুন রাত থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ১ জুলাই থেকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তাদের জিজ্ঞাসা করুণ।
বন্দর ঘাটের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত রিয়েল ও শাহিন ঘাটে পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ঘাটের আশেপাশে ও রাস্তায় সকল দোকান বসিয়ে চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই টাকা তুলছে হুমায়ূন নামে একলোক।