সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে রাস্তায় নেমেছেন প্রায ৫শতাধিক সহকারী শিক্ষক। নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিককেরা বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ৫টি উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক সহকারী শিক্ষক মানববন্ধন করেছেন। এসময় শিক্ষকেরা বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন প্লে-কার্ড হাতে মানববন্ধনে দাড়ান।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি সোহেব তারভীর ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান শামীম এ মানববন্ধনে যোগ দেন।
শিক্ষকদের দাবি- শতভাগ পদোন্নতি সহ ৯ মার্চ ২০১৪ সাল থেকে ১১তম গ্রেডে বেতন পূর্ননির্ধারণ করা, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি না করা, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহাওে ঘোষিত যৌক্তিক বেতন বৈষম্য নিরসন সহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে নন-ভেকেশনাল হিসেবে ঘোষণা করা ও প্রাথমিক শিক্ষকদের সম্মানজনক টিফিন ভাতা প্রদান করা।
মানববন্ধনে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন, তখন প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকগণ বেতন পেতেন একই গ্রেডে। কিন্তু ১৯৭৭ সালের ১ জুলাই সহকারী শিক্ষকদের ১ ধাপ নিচে বেতন নির্ধারণ করা হয়।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে চাকুরীর শুরুতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মূল বেতনের ব্যবধান ২ হাজার ৩’শ টাকা। প্রধান শিক্ষকগণ ২য় শ্রেণিভুক্ত হওয়ায় ১০ম গ্রেড পাওয়া তাদের অধিকার। আমরাও চাই তাদের ১০ম গ্রেপ প্রদান করা হোক। তবে আমাদের যদি ১২তম গ্রেড প্রদান করা হয় তাহলে চাকুরীর শুরুতে বেতন ব্যবধান হবে ৪ হাজার ৭’শ টাকা যা একেবারেই অমানবিক।