সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেনের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু সহ নারায়ণগঞ্জ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় হাজার খানিক রাজনীতিক।
একই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ মোশাররফ হোসেনের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। জানাযার পূর্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মোশাররফ হোসেনের মরদেহে ফুুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
জানাযায় অংশগ্রহণ করে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, মোশাররফ হোসেন ভাই শুধু আওয়ামীলীগ নেতা কিংবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের সোনারগাঁয়ের একজন মুরুব্বী। আমরা একজন মুরুব্বীকে হারালাম। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি মহান আল্লাহ যেনো উনাকে বেহেসত নসিব করেন।
২৩ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমআ উপজেলার মোগরাপাড়া সরকারি এইচ.জি.জি এস স্মৃতি বিদ্যায়াতন মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম। ওই সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তার জানাযা নামায শেষে মরহুমের লাশ স্থানীয় মোগরাপাড়া এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উক্ত জানাযায় উপরোক্ত রাজনীতিক ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক লিটন খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, আরিফ আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রবিন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার জনসাধারণ।
উল্লেখ্য, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ থাকার পর ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় রাজধানী ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।