সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক ডেপুটি স্পিকার, সরকারি প্রতিশ্রুতি বিষয়ক সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আশরাফ মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্র্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি।
মরহুম অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফ এমপির শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে এক শোকবার্তায় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, মহান আল্লাহপাক যেনো শোকাহত পরিবারের এই শোক কাটিয়ে উঠার তৌফিক দান করেন। সেই সাথে মরহুম আলী আশরাফ এমপিকে আল্লাহ পাক জান্নাতবাসী করেন, আমীন।
এদিকে জানাগেছে, ৩০ জুলাই শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আশরাফের মৃত্যু হয়।
অধ্যাপক আলী আশরাফ গলব্লাডারের জটিলতা নিয়ে গত ২ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। একপর্যায়ে পরীক্ষায় নিউমোনিয়া ধরা পড়ে বলে জানান মরহুমের একমাত্র ছেলে মুনতাকিম আশরাফ টিটু।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে ৯ জুলাই তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে গত ২১ জুলাই বিকেল ৩টায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেননি প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্ষিয়ান এই নেতার মৃত্যুতে তাঁর নির্বাচনী এলাকা চান্দিনাসহ জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য রাজনৈতিক গুণগ্রাহী ও অনুসারী রেখে গেছেন।
স্বাধীনতাত্তোর জাতীয় সংসদের সবকনিষ্ঠ সদস্য চান্দিনার গল্লাই মুন্সীবাড়ির মরহুম মো. ইসমাইল হোসেন মুন্সীর ছেলে আলী আশরাফ ১৯৬২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করে রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখেন।
১৯৭০ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে আলী আশরাফ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘মই’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে জয় না পেলেও ‘মাছ’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে সব নির্বাচনেই আলী আশরাফ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো বিজয় লাভ করেন। ২০০০ সালে তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।