সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম শুভ জন্মবার্ষিকী আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পালন করেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ।
৮ আগস্ট রবিবার সকালে উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বল্পপরিসরে জন্মদিন পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস.এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, সদস্য গাজী মুজিবুর রহমান, লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত আলোচনা সভায় বলেন, আজ এমন একজন নারীর জন্মদিন, যিনি সাধারণের বেশে অসাধারণ, বাঙালি নারীর প্রকৃত প্রতিকৃতি। একজন সাধারণ গৃহিণী হয়েও বাংলাদেশের ইতিহাসে যার ভূমিকা উজ্জ্বল। তিনি বাঙালির স্বপ্নজয়ের একজন সারথি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। যার হৃদয় ছিলো কঠোর-কোমলে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে নয়, সংসারের অন্তরালে থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন একজন দক্ষ নীরব সংগঠক রূপে। সাংসারিক নানা টানাপোড়েন ও শত দুঃখ-কষ্টের পাশ কাটিয়ে দুর্দিনে আওয়ামী লীগকে পরিচালনা করেছেন। আর আজীবন ছায়ার মতো পাশে থেকে স্বামী শেখ মুজিবকে অধিষ্ঠিত করেছেন হিমালয়সম আসনে। এভাবেই ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া ফজিলাতুন্নেছা বাংলার মানুষের মণিকোটায় জায়গা করে নিয়েছেন শ্রদ্ধা ও সম্মানে।
আলোচনা শেষে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও জন্মদিনের কেক কাটা হয়।