সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। আগামী ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনটি উপজেলাতেই আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। যদিও এর মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলায় দুই ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে চলছে মারামারি। রূপগঞ্জ উপজেলায় এক ভাইস চেয়ারম্যান মারধরের শিকার হয়েছে হাসপাতালে। তিনি নির্বাচন থেকেই সরে যান। সোনারগাঁয়ে দুই দফা মারামারি হয়েছে। আড়াইহাজারে নৌকার প্রার্থী নিজ এলাকায় মনোনয়নই দিতে পারেননি জমা। বিদ্রোহী প্রার্থী একজন বসে পড়ার পর তিনি এক সপ্তাহ পর আড়াইহাজারে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন।
এদিকে জানাগেছে, ১৫ মার্চ শুক্রবার সন্ধায় সোনারগাঁও উপজেলার তালতলা এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত ৪ মার্চ মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মোশারফ হোসেন ও কালামের লোকজনদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মত নেতাকর্মী আহত হন। পর দিন মোশারফ হোসেন ও কালামের অনুগামী দুই নেতা পাল্টাপাল্টি থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে গত ১১ মার্চ সোমবার রূপগঞ্জ তারাবো পৌর বরাব এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ চৌধুরী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তারপর তিনি নির্বাচন থেকে সরে যান। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফসুফ চৌধুরী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। তবে আহত ইউসুফ চৌধুরী সুস্পষ্ট করে কোন প্রার্থীর দিকে অভিযোগ না তুললেও তিনি বলছেন যে কোন এক প্রার্থীর পক্ষের সন্ত্রাসীরা তার উপর এই হামলা চালিয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, হামলাকারীরা অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভিপি সোহেলের সন্ত্রাসী বাহিনী। ১১ মার্চ সোমবার রাতে তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় হামলার শিকার হন ইফসুফ চৌধুরী। তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর হুমকির প্রতিবাদ করায় এ হামলার শিকার হন বলে আহত প্রার্থী অভিযোগ করেন। আহত ইউসুফ চৌধুরী বরাব এলাকার ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। এছাড়া তিনি উপজেলা গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ইউসুফ চৌধুরী অভিযোগ করেন, তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। সোমবার রাতে বরাব এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে সবুজ মিয়া ও আব্দুল আলীমের ছেলে নবী হোসেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউসুফ চৌধুরীকে দেখা করতে বললে তিনি সরল বিশ^াসে দেখা করতে যান। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সন্ত্রাসী সবুজ মিয়া, নবী হোসেন, মাসুদ, মিজান, মামুন, মমিনসহ ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতি, রডসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী থেকে সড়ে দাঁড়ানোর হুমকি দেয়।