সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগ নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সায়েম আহাম্মেদ।
একই সঙ্গে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
জাতীয় শোক দিবসের এক বাণীতে সায়েম আহাম্মেদ বলেছেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবেচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সংগ্রামের দ্ব্যর্থহীন বজ্রকণ্ঠ। দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
সায়েম আহাম্মেদ আরো বলেন, ঘাতকেরা এদিন শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি ও সুন্দর আগামীর স্বপ্ন। স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র ৩ বছর ৭ মাসের মাথায় দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে ঘাতকরা বাঙালি জাতির কপালে কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দেয়। শুধু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেই খুনিরা ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের জড়িত জিয়া-মুশতাকচক্র অসাংবিধানিক উপায়ে অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির কাছে শুধু শোক দিবস নয়, বাঙালি জাতির শক্তি সঞ্চয়েরও দিন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আদর্শিক লড়াই ও সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমগ্র জাতির শোককে আজ শক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, নিরলস পরিশ্রম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।