সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন করলেন আওয়ামীলীগ নেতা ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ। তার নিজস্ব উদ্যোগে ধামগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওর্য়াডে প্রায় ৩০ টি স্পট ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাওফিল শেষে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। পরে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদের সাথে বন্দরের বিভিন্ন স্পর্টে যান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন হাজী সফরউদ্দিন। মিলাদ মাহফিলে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনায় এক বিশেষ মোনাজাত শেষে আমন্ত্রীত অতিথিদের ভূড়িভোজ করা হয়।
বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড মালিভিটা এলাকায় হাজী সফরউদ্দিন নিজ বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৫ আগস্ট রবিবার দুপুরে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যার মাসুম আহম্মেদ।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ধামগড় ইউপির ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ, সাবেক ইউপি সদস্য জামালউদ্দিন, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা মো. নূরুজ্জামান মোল্লা, আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন, শহিদউল্লাহ, শফিকুল ইসলাম, ইব্রাহিম, আব্দুল গাফ্ফার ও মো. মিজানুর রহমান প্রমূখ।
চেয়ারম্যার মাসুম আহম্মেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তারিখে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশে সর্বস্থরের জনগন দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এ দিবসটি জাতীয় ভাবে সর্বোপরি পালন করে যাচ্ছে জাতি। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় ঘাতক সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যরা নির্মম ভাবে হত্যা করেছিলো। সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা রবগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগিনা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুকে জীবন বাঁচাতে ঐদিন ছুটে আসেছিলেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তাকেও তখন হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেনআজ তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা।