সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালনের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর দলে কাউয়া হাইব্রিড শ্রেণির লোকজনদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে সেই বিষয়টি ইঙ্গিত করে বক্তব্য রেখেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, যিনি বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন।
কায়সার হাসনাত বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিলেন, আজকে তাদের প্রতিফলনে, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আজকে আওয়ামীলীগ এ পর্যায়ে। আজকে দেশ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে। আজকে এই মঞ্চে যারা উপস্থিত আছেন তারা দলের দুঃসময়ে বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। কিন্তু ২০০৮ সালের পরে অনেকেই আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা সুবিধা নেওয়ার জন্য, তারা চায় চেয়ার দখল করার জন্য। কিন্তু দলের দুঃসময়ে তাদেরকে পাওয়া যাবে না। তাই এখন থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে দোয়া মাহফিল পূর্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন তিনি।
ওই সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
১৬ আগস্ট সোমবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা সাদিপুর ইউনিয়নে কাজরদি এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার আল আমিনের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মেম্বার, সনমান্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন রবিন।
সাহাবুদ্দিন মেম্বার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ওবাদুল্লাহ্ বাদল, মোশাররফ, আবু সিদ্দিক সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।