সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২১শে গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এবং ঘটনায় জড়িত আসামিদের ফাঁসির দাবিতে দুই হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি।
১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাচারি ভূমি অফিসের সামনে এক প্রস্তুতিমুলক সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাজী সোহাগ রনি।
হাজী সোহাগ রনির সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমুলক সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহ্ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈকত হোসেন মোল্লা, আবুল কাশেম, নুরুজ্জামান পিঞ্জর, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের তথ্য গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়ালিদ ওসমান, সোনারগাঁ থানা ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষ।
আরও উপস্থিত ছিলেন মিন্টু, আলমগীর, রতন, পারভেজ, বাবুল, জাবেদ, লিজন, সাহেদ, সজীব, রাসেল, জুয়েল, ওনি, শাওন, শাহ্ আলম সহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার একটি আদালত।
রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরিসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়।
ঘটনাসূত্রে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ শে অগাস্ট শনিবার গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
সেদিন বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে একটি ট্রাকে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে দলের প্রধান এবং তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেনেড হামলা হয়।
সেই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।
ওই হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়, একটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।