সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বাস টার্মিনাল অর্থাৎ নগর-বন্দর ১নং খেয়া ঘাটটি সুনামের সাথে নারায়ণগঞ্জ-৫(নগর-বন্দর) আসনের দানবীর সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছিল। যেখানে ঘাট পরিচালনায় ছিলেন দিদার খন্দকার। দিদার খন্দকার দীর্ঘ ৮ বছর দায়িত্ব পালনের পর সেই ঘাটের দায়িত্ব পেয়েছেন নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেল, এমপি সেলিম ওসমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ঘাটটির ইজারাদার সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না (২০২১-২০২২)। ঘাটটি পরিচালনা করেছেন শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু। গত ১জুলাই থেকে ঘাটটি পরিচালনা করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, ঘাটটি দীর্ঘ দিন যাবত এমপি সেলিম ওসমানের তত্ত্বাবধানের পর থেকেই দিদার খন্দকার ঘাটটি পরিচালনা করে আসছিল সুনামের সাথে। হঠাৎ এ বছর ঘাটটি হাতবদল হয়ে পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু।
তিনি ঘাটটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী রিয়েল সহ আরো অনেকে। আরো জানা যায়, প্রায় ৮ জনের সিন্ডিকেটে ঘাটটি পরিচালিত হচ্ছে।
ঘাটে পারাপারকারী এক ব্যাক্তি জানায় আগে জানতাম এমপি সেলিম ওসমান সাহেব ভর্তুকি দিয়ে নাকি ঘাট পরিচালনা করতেন। এখন তো দেখি তার উল্টো। ঘাটটি নিয়ে কেউ ব্যবসা করছেন কিনা, তা না হলে হাত বদলের দরকার পরলো কেন? এটা বন্দর বাসী জানতে চায়। দিদার খন্দকারকে আউট করে সাজনুকে ইন করার সফল কি?
অনেকেই জানান, আগে মালামালের জমা লাগতো না, এখন লাগে। এমপি নাসিম ওসমান আজ থেকে ৮ বছর আগে এই মালামাল এর জমা মওকুফ করে দিয়েছিল, যা গত ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ ছিল। গত ১জুলাই থেকে আবার চালু হয়েছে।
এক ফুল বিক্রেতা জানায়, আগে দিদার খন্দকার পাতি দিয়ে ফুল নিলে জমা নিতো না, এখন পারাপার হতে গেলে ১০ টাকা লাগে। আর এক যাত্রী সজিব জানায়, আমি টিভি নিয়ে পার হবার সময় ৫০ টাকা জমা দিয়েছি। আমরা গরীর মানুষ আমাদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিলে আমরা চলবে কিভাবে? আমরা তো মনে করি আগের দিদার খন্দকারই ভালো ছিল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগে যেখানে সকালে চলতো ১০টি ট্রলার সেখানে এখন চলে ৮টি ট্রলার। এই ঘাটের নৈরাজ্য বন্ধের দাবি করেছেন যাত্রীরা।